সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ঐতিহ্যবাহী উপাসনাগৃহে ‘বাঙালি কাঁকড়ার জাত’ এবং দুর্গাপুজো নিয়ে বাঙালির বিরুদ্ধে করা অপমানজনক মন্তব্য, শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের বিনা অনুমতিতে আত্মপ্রচারমূলক রবীন্দ্র আদর্শবিরোধী ফলক স্থাপন-সহ টোটোচালকদের হেনস্তা করা নিয়ে মোট ৬টি মামলা শান্তিনিকেতন থানায় রুজু করা হয়।
আরও পড়ুন-ইতিমধ্যে ৫৭ হাজার বাড়িতে প্রশাসন পৌঁছে দিয়েছে পানীয় জল
এর আগে সোমবার আদালতের নির্দেশ মেনে তিনটি মামলায় তাঁকে জেরা করেন শান্তিনিকেতন থানার ওসি কস্তুরী মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি তদন্তকারী টিম। তার পূর্ণ ভিডিওগ্রাফি করা হয়। বুধবারও পূর্বিতায় গিয়ে প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎকে জেরা করেন ওসির নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্তকারী দল। আগে এই মামলা খারিজের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হলে আদালত জানিয়ে দেয়, মামলা-পিছু এক ঘণ্টা জেরা করতে পারবে পুলিশ। তবে আদালত বিদ্যুৎকে রক্ষাকবচ দিয়ে পুলিশকে নির্দেশ দেয়, তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না। উল্লেখ্য, উপাচার্য পদে থাকাকালীন কখনও নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে জমিহাঙর বলে অপমান, আবার কখনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও অপমান করেন বিদ্যুৎ।
আরও পড়ুন-গাফিলতিতে সাসপেন্ড হাসপাতাল সুপার
আশ্রমিক থেকে প্রাক্তনী, কাউকেই অপমান করতে দ্বিধা করেননি। সর্বশেষ বিতর্ক বাঁধে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি-ফলক নিয়ে। তার জেরেই শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। যদিও মন্ত্রক ইতিমধ্যে সেই ফলকের নতুন বক্তব্য পাঠিয়ে বিতর্কে ইতি টেনেছে। আইনি উপদেষ্টা মারফত পূর্বিতায় ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত থাকার আবেদন জানান বিদ্যুৎ। বিশ্ববিদ্যালয় সেই প্রার্থনা বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছে। মঙ্গলবার সেন্ট্রাল অফিসের সামনে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বেআইনি জবরদখল থেকে বিশ্বভারতীর বাংলোকে মুক্ত করার দাবিতে এবং পৌষমেলা বন্ধের চক্রান্ত ব্যাহত করে চলতি বছরে মেলা করার দাবিতে গণজমায়েত হয়। বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির তরফে পৌষমেলা করার জন্য ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যর কাছে আবেদনও করা হয়।