প্রতিবেদন : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের জনধন যোজনায় বিরাট গরমিল। খোঁজ নেই ১০ কোটি অ্যাকাউন্টের। সংসদে তৃণমূল সাংসদ জহর সরকারের প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রকের তরফে যে রিপোর্ট তুলে ধরা হল তা দেখলে চোখ কপালে উঠবে। শুধু তাই নয়, এই প্রকল্পের মোট অ্যাকাউন্টের ১৮-২০ শতাংশ নিষ্ক্রিয় বা ‘নিখোঁজ’। ১১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বেপাত্তা জনধনে।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য তুলে ধরে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার দাবি করেছেন, এই জনধন যোজনাও ভুলে ভরা। জহর সরকারের প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী ভগবত কারাদ স্বীকার করে নিয়েছেন জনধন যোজনার আওতায় খোলা মোট অ্যাকাউন্টের ১৮-২০% নিষ্ক্রিয় বা ‘নিখোঁজ’। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনায় যে ৫০ কোটি ৮১ লক্ষ জিরো ব্যালেন্সের অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল, তার মধ্যে প্রায় ১০ কোটিই এখন নিষ্ক্রিয়। হয় ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে দীর্ঘদিন কোনওরকম লেনদেন হয়নি, নয়তো এই অ্যাকাউন্টগুলির মালিকদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। শুধু তাই নয়, কেন্দ্র মেনে নিয়েছে, ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে এখনও ১১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা জমা রয়েছে। যার কোনও দাবিদার নেই। সচরাচর জনধন অ্যাকাউন্টে কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা জমা পড়ে। তাহলে প্রশ্ন উঠছে কাদের অ্যাকাউন্টে জমা পড়ছে এই বিপুল পরিমান টাকা।
আরও পড়ুন-স্থিতিশীল মদন
জওহর সরকার তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী ভগবত কারাদের দেওয়া জবাব তুলে ধরে বলছেন, সরকারের মন্ত্রীরা যখন জনধন যোজনার সাফল্য নিয়ে বুক বাজাচ্ছেন, তখন এই জনধন অ্যাকাউন্টগুলিতে সরকারি প্রকল্পেরই এই বিরাট অঙ্কের টাকা জমা পড়ে আছে। যার কোনও দাবিদারই নেই! স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এই অ্যাকাউন্টগুলি কাদের? যদি এই অ্যাকাউন্টগুলি গরিব নাগরিকদের হয়, তাহলে তাঁদের ব্যাঙ্কিং পরিষেবার আওতায় রাখা গেল না কেন?