প্রতিবেদন : রাজ্যে চর্মশিল্পের জন্য বিরাট সুখবর। কলকাতার চর্মশিল্প নগরী কর্মদিগন্তে আরও ১০ হাজার কোটি টাকার নতুন বিনিয়োগ আসছে। কর্মসংস্থান হবে আরও আড়াই লক্ষ মানুষের। রাজ্যের চর্মশিল্পের হালহকিকত নিয়ে আজ পর্যালোচনা বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চর্মশিল্প মহলের প্রতিনিধিরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই এই বিনিয়োগ প্রস্তাব চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন-মানিকচক : লোডশেডিংয়ের মিথ্যাচার, রক্তাক্ত পুলিশ
বৈঠকের পর নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের জানান, কর্মদিগন্তে ১৮৭টি নতুন ট্যানারি এবং ১৩৯টি জুতো তৈরির ইউনিট গড়ে উঠতে চলেছে। যেখানে বিনিয়োগের পরিমাণ হবে ১০ হাজার কোটি টাকার মতো। ফলে কর্মসংস্থান হবে আরও আড়াই লক্ষ মানুষের। তিনি জানান ১,১৫০ একর জমির উপর গড়ে ওঠা এশিয়ার বৃহত্তম এই চর্মশিল্প হাবে ইতিমধ্যেই ৫০০টি ট্যানারি ও চর্মসামগ্রীর উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে। মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ২৫ হাজার কোটি। ইতিমধ্যেই ৫ লক্ষ মানুষ প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সেখানে যুক্ত রয়েছেন। নতুন ইউনিটগুলি তৈরি হলে সেখানে কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত খুলে যাবে। চর্মশিল্পের প্রসারে কর্মদিগন্ত চর্মনগরীর পরিকাঠামো ঢেলে সাজানোর কাজও শুরু করেছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই সেখানে জঞ্জাল ব্যবস্থাপনা, পানীয় জল, রাস্তা, নিকাশি-সহ বিভিন্ন পরিকাঠামো নির্মাণের জন্য ১৯০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এছাড়াও ৪৭৫ কোটি টাকা ব্যয় করে সেখানে ২৮ মেগা গ্যালন নতুন একটি পানীয় জলপ্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে। যাতে শুধু চর্মশিল্প নগরীই নয় আশপাশের এলাকার বাসিন্দারাও উপকৃত হবেন। বাংলার চর্মশিল্পকে দেশ-বিদেশের মানুষের দুয়ারে আরও ভালভাবে পৌঁছে দিতে আরও একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য। আলাপনবাবু জানান, আলিপুর জেল মিউজিয়ামের সামনে চর্ম ও কুটিরশিল্প সামগ্রীর একটি শপিংমল তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হিডকো প্রস্তাবিত এই শপিংমল তৈরির দায়িত্ব পেয়েছে। সেখানে ৫০ শতাংশ জায়গাতেই থাকবে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্সের উৎপাদকদের তৈরি বিভিন্ন পণ্য। আর বাকি ৫০ শতাংশ জায়গায় থাকবে বাংলার শাড়ি-সহ বাংলার হস্তশিল্পের বিভিন্ন নমুনা।