প্রতিবেদন: বিজেপির প্রতিহিংসার রাজনীতি অব্যাহত বাংলার ক্ষেত্রে। ন্যায্য পাওনা থেকে একের পর এক নির্লজ্জ বঞ্চনা। অথচ পাশের রাজ্য বিহারের ক্ষেত্রে উদারহস্ত প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় বাজেটে বিহারের প্রতি দৃষ্টিকটূ পক্ষপাতিত্বের পরে আবার বিহারকে ৫৮৯ কোটি টাকা দিল কেন্দ্র। বিপর্যয় মোকাবিলা খাতে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, এই টাকা দেওয়ার প্রকৃত উদ্দেশ্যটা কী মোদির? প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা, নাকি সামনের বিধানসভা বিহারে বিজেপির রাজনৈতিক বিপর্যয়ের মোকাবিলা?
আরও পড়ুন-সিরাজের কীর্তি, টানা তিন জয় শুভমনদের
আসলে বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে নোংরা রাজনীতির খেলায় নেমেছে বিজেপি তথা মোদি সরকার৷ চলতি আর্থিক বছরের জন্য যে সাধারণ বাজেট পেশ করা হয়েছিল ১ ফেব্রুয়ারি, সেখানে বিহারের জন্য ঢালাও আর্থিক বরাদ্দ করা হয়েছে৷ এটা দেখার পরেই উন্নয়নের নামে বিহারের ভোটমুখী সাধারণ বাজেট পেশ করার জন্য মোদি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস সহ গোটা বিরোধী শিবির৷ তারপরেও নিজেদের আচরণ পরিবর্তন করেনি মোদি সরকার৷ আরও একবার বিহারকে বাড়তি সুবিধে পাইয়ে দেওয়া হল নীতিহীন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে৷ এবার বিপর্যয় মোকাবিলা খাতে বিহারকে দেওয়া হয়েছে ৫৮৯ কোটি টাকা৷ একইরকমভাবে প্রচুর টাকা দেওয়া হয়েছে তামিলনাড়ু ও পুদুচেরিকেও৷ বরাবরের মত এবারেও বঞ্চিতই থেকে গিয়েছে বাংলা৷
উল্লেখ্য, দিনের পর দিন ধরে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলার খাতে বাংলার ন্যায্য প্রাপ্য টাকা আটকে রেখেছে মোদি সরকার৷ আমফান, আয়লা, যশ, দানা সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে ন্যায্য প্রাপ্য টাকা না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও৷ সম্প্রতি রাজ্যসভায় বিপর্যয় মোকাবিলা বিল নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলার বঞ্চনার তথ্য তুলে ধরে মোদি সরকারের বিমাতৃসুলভ আচরণের তীব্র সমালোচনা করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেই সময় রাজ্যসভায় উপস্থিত থাকলেও বাংলার বকেয়া নিয়ে একটি শব্দও বলেননি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ৷ এর পরেই রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে মোদি সরকারের মুখোশ খুলে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বাংলার ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান প্রকল্পে কেন কেন্দ্রীয় সরকার আর্থিক সহযোগিতা করছে না, প্রশ্ন তোলেন তিনি৷ বাংলার সঙ্গে কিভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক আচরণ করছে মোদি সরকার, সেই প্রসঙ্গও তুলে ধরেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিপর্যয় মোকাবিলা খাতে মোট চাহিদার মাত্র ৭ শতাংশ কেন বাংলাকে দেওয়া হয়েছে ? প্রশ্ন তোলেন তিনি৷ কেন বাংলার বরাদ্দ ৪০ শতাংশ কমানো হয়েছে, তাও জানতে চান ঋতব্রত৷