প্রতিবেদন : প্রত্যেকটি স্কুলে পড়ুয়া ও শিক্ষকের অনুপাত কীরূপ রয়েছে, এছাড়াও শিক্ষাকর্মী কতজন রয়েছেন, কত শূন্য পদ রয়েছে এবার সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠাল শিক্ষা দফতর। ইতিমধ্যে স্কুল পরিদর্শকদের কাছে এই নিয়ে নির্দেশ পাঠিয়েছে বিকাশ ভবন। এরপর ডিআইদের তরফে প্রত্যেকটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের কাছে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁদের স্কুলের সার্বিক চিত্র পাঠানোর জন্য। বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে শিক্ষক বেশি থাকলেও পড়ুয়া কম। আবার কোথাও পড়ুয়া থাকলেও পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে প্রত্যেকটি স্কুলের কোথায় কী অবস্থা রয়েছে তা জানতে তৎপর হয়েছে শিক্ষা দফতর। পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়ার সংখ্যা জানাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন-আজ গঙ্গাসাগরে মুখ্যমন্ত্রী
এছাড়াও ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোন স্কুলে কত শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীর অনুমোদিত পদ রয়েছে এবং বর্তমানে সেই পদে কতজন আসীন রয়েছেন, কত পদই বা শূন্য রয়েছে সেই যাবতীয় তথ্য জানাতে হবে বিকাশ ভবনকে। এই যাবতীয় তথ্যগুলি স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা ডিআইদের কাছে জমা দেবেন এরপর ডিআইরা সেই তথ্য তুলে দেবে বিকাশ ভবনের হাতে। সূত্রের খবর, যে স্কুলগুলিতে আনুপাতিক হারে অতিরিক্ত শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মী রয়েছেন তাঁদেরকে তুলনামূলকভাবে কম শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মী যে স্কুলে রয়েছেন সেখানে বদলি করার কথা ভাবা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য জানান, বিকাশ ভবন মাঝে মাঝেই এই ধরনের সমীক্ষা করে থাকে। এতে প্রত্যেকটি স্কুলের সার্বিক চিত্র বোঝা যায়। আমাদের স্কুলে কোনওরকম শিক্ষকের ঘাটতি নেই। আমার কাছে লিখিত আকারে নির্দেশিকা এসে পৌঁছলে আমরা দ্রুত তথ্য তুলে দেব ডিআইদের হাতে।