তৃণমূল কংগ্রেসে (Trinamool Congress) যোগ দিলেন বিনয় তামাং (Binay Tamang)। তাঁর সঙ্গেই তৃণমূলে যোগ দেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। শুক্রবার, রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) ও মলয় ঘটকের (Maloy Basu) হাত ধরে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেন GTA-এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিনয় তামাং ও মোর্চার ১০ বছরের বিধায়ক রোহিত শর্মা। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে বিনয় তামাং বলেন, পৃথক রাজ্যের প্রয়োজন নেই। চাই পাহাড়ের উন্নয়ন।
বিনয় আরও বলেন, “অনেকদিন আগেই মোর্চা ছেড়েছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উন্নয়নমূলক কাজ দেখেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে চাই। আমি একটি আঞ্চলিক দলে ছিলাম। সেখান থেকে জাতীয় দলে যোগ দিলাম। ২০২৪-এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই”।
এরপর বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ করেন বিনয় তামাং (Binay Tamang)। বলেন, “পাহাড়ের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বিজেপি এবং তার শরিকরা। মীরজাফরের মত কাজ করেছে। বারবার তারা আমাদের পৃথক গোর্খাল্যান্ডের ললিপপ দেখিয়েছে। পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দরকার নেই। দরকার পাহাড়ের প্রকৃত উন্নয়নের। বিজেপি ইমোশনালি আমাদের ব্ল্যাকমেল করছে। তিনবার পাহাড় থেকে সাংসদ নিয়ে গিয়েছে কিন্তু কোনও উন্নতি করেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাহাড়ের উন্নতির চেষ্টা করছেন।” তিনি বলেন তৃণমূল ক্ষমতায় থাকলেই একমাত্র পাহাড়ের কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব।
আরও পড়ুন-এখনই নির্দল কাউন্সিলরদের দলে নিতে চান না তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো
গত বেশ কয়েকটা নির্বাচনে পাহাড়ে প্রার্থী দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। সমর্থন করেছে মোর্চাকে। বিনয়ের যোগদানের পরে কি GTA নির্বাচনে প্রার্থী দেবে জোড়া ফুল? এর উত্তরে মলয় ঘটক বলেন, GTA নির্বাচন এখনও অনেক দেরি। এখনই এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না। তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, বিভাজনের রাজনীতি করতে অভ্যস্ত বিজেপি। তার ফলে তারা পাহাড়-সমতলে বিভাজন ঘটাতে চায়। সম্প্রদায়, ধর্ম এমনকী নারী ও পুরুষের মধ্যে বিভাজন করতে চায় বিজেপি। পাহাড়ের মধ্যে একটা কাল্পনিক বিভাজন তৈরি করা হয়েছিল। রাজনৈতিক স্বার্থে বাইরে থেকে ইন্ধন-উস্কানির ফলে এই বিভাজন ঘটেছিল। কিন্তু পাহাড়ের মানুষ অশান্তি চান না। তাঁরা এখন বুঝতে পেরেছেন তাঁদের প্রকৃত অভিভাবক যদি কেউ থেকে থাকে তাহলে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে, বিনয় তামাং-এর মতো নেতার গোর্খাল্যান্ডের দাবি থেকে সরে আসা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।