চন্দন মুখোপাধ্যায়, কাটোয়া: সাতসকালে কেতুগ্রামে নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় (Binayak Banerjee)। উদ্দেশ্য, ঐতিহ্যবাহী বাংলার তাঁতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরা। পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের বেণীনগর গ্রামের উত্তর ও মধ্যপাড়ায় এসে তাঁতশিল্পীদের পরিবারের সঙ্গে কথা বললেন। এরপর যান কাটোয়ার মুস্থুলি গ্রামে। বেণীনগর ও মুস্থুলির তাঁতশিল্প বিশ্ববন্দিত। ভিনরাজ্য ও দেশে এখানকার তাঁতশিল্পের কাজ নিয়মিত যায়। এখানকার শিল্পীদের সঙ্গে হস্তচালিত তাঁতের বর্তমান অবস্থার কথা অভিজিৎ বিস্তারিত জেনে নেন। নোবেলজয়ীকে নিজেদের মধ্যে পেয়ে খুশি তাঁতশিল্পীরা। অভিজিৎ (Binayak Banerjee) জানান, বাংলার ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্পকে পৃথিবীর সামনে তুলে ধরতেই এই কাজ শুরু করেছি। বছর দুয়েক আগে প্যারিসে একটি সম্মাননা অনুষ্ঠানে অভিজিৎকে বাংলার এক সমাজসেবী সংগঠনের তরফ থেকে বাংলার তাঁতবস্ত্র উপহার দেয়। উপহার পেয়ে অভিভূত অভিজিৎ এই পোশাকের আঁতুড়ঘর কোথায় জানতে চান। সেই সূত্রেই কীভাবে কাজ হয় দেখতে কেতুগ্রামের বেণীনগরে সুব্রত সিংহরায়ের বাড়ি আসেন। বিদেশে তাঁতবস্ত্র রফতানি করা বাসুদেব সিংহরায় বলেন, অভিজিৎবাবু আসায় এখানকার তাঁতশিল্পের সুনাম বাড়বে। বাড়বে বাণিজ্যও। উনি এই নিয়ে দু’বার এলেন। নোবেলজয়ীর সঙ্গে এদিন ছিলেন চিত্রপরিচালক রাণু ঘোষ, ফ্যাশন ডিজাইনার সুকেশ ধীর ও অ্যানিমেটর সেইয়েন অলিভিয়া। ওঁরা সকলেই তাঁত যন্ত্রে কাপড় তৈরির পদ্ধতি দেখে উচ্ছ্বসিত।