প্রতিবেদন : What TMC thinks today, BJP thinks tomorrow। বহুল প্রচারিত প্রবাদটি সামান্য পাল্টে নিতে বাধ্য করল বিজেপি। সৌজন্যে ‘দিদিকে বলো’।
আরও পড়ুন : বেহাল অর্থনীতি, অতিমারিতে স্বর্ণঋণ নেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে
বাংলায় ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি শুধু যে পশ্চিমবঙ্গে রেকর্ড তৈরি করেছে তাই নয়, দেশজুড়ে এমনকী বিদেশেও এই কর্মসূচি মানুষের মুখে মুখে। এক ফোনে মানুষের সমস্যার সুরাহা। মানুষ আশীর্বাদ করেছেন নেত্রীকে, নেতা-কর্মীদের, তৃণমূল কংগ্রেসকে। ত্রিপুরার বুকে মাটি হারিয়ে পা কাঁপছে বিজেপি নেতাদের। একের পর এক সরকারি কমর্সূচিতে ফ্লপ, চাকরি নেই, আইন-শৃঙ্খলা শিকেয়, শিক্ষা ব্যবস্থা এমন পর্যায়ে যে কলমের এক আঁচড়ে দশ হাজার শিক্ষকের চাকরি যায়। এর মাঝেই তৃণমূল কংগ্রেসের আন্দোলনে দিশাহারা বিজেপি সরকার জনবিচ্ছিন্নতা দূর করতে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির নকল করে শুক্রবার তাদের নয়া কর্মসূচি ঘোষণা করল। যা শুনে তৃণমূল কংগ্রেস বলেছে, ত্রিপুরার মানুষ দু’নম্বর নয়, এক নম্বর নেবেন। দেড় বছর পর ভোটবাক্সেই তার প্রমাণ দেবেন। ফোন নম্বর দিলেই উন্নয়ন হয় না।
অথচ, এক সময় বাংলায় এই বিজেপিই ‘দিদিকে বলো’ নিয়ে কটাক্ষ করেছিল। এখন তাদেরই শাসিত রাজ্য ত্রিপুরা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর দেশের জনপ্রিয় কর্মসূচি নির্লজ্জের মতো নকল করছে। এই ঘোষণার পরেই গোটা সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ট্রোলড বিজেপি। প্রত্যুত্তরে শুধু বলছে, মোটেই এক কর্মসূচি নয়।
আরও পড়ুন : তালিম নিয়ে ডিগবাজি! কাশ্মীর নিয়ে কথা বলতে চায় তালিবান
ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তৃণমূল কংগ্রেস কটাক্ষ করে বলেছে, নকল নবীশ বিজেপি লোক হাসাচ্ছে। ত্রিপুরার মানুষ নকল বা দু’নম্বর নেবেন না। আর মাত্র বছর দেড়েক বাকি নির্বাচনের। আসল বা এক নম্বরই তাঁরা বেছে নেবেন। তাছাড়া বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী ফোন লাগালেও করবেন কী? ফোন পাওয়ার পর কীভাবে উন্নয়ন করতে হয় সেটাও তাঁরা জানেন না। পরাজয় নিশ্চিত জেনে এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনাগুলির অক্ষম অনুকরণ করতে নেমেছে ত্রিপুরার বিজেপি।