অরণ্য সংরক্ষণের বার্তা দিতে প্রথা মেনে রাজ্য বিধানসভা ভবনে জমজমাট অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পালিত হলো বন মহোৎসব। শুক্রবার এই বনমহোৎসবের সূচনা করেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন অধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সরকার পক্ষের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ, বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা (Birbaha Hansda), পরিবেশ মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য-সহ একাধিক বিধায়ক।
অনুষ্ঠানে নিজের ভাষনে অরণ্য সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন বীরবাহা হাঁসদা (Birbaha Hansda)। বললেন, ‘‘জুলাই এলেই গাছ লাগানোর প্রবণতা বাড়ে। অনেকে শুধুমাত্র ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার জন্য গাছ লাগান। কিন্তু পরে ওই গাছটা বাঁচল কি না, সেটা আর দেখেন না। আমরা গাছ লাগাব, কিন্তু গাছ বাঁচবে না—তা হয় না। গাছটা যাতে বাঁচে, সেদিকে নজর দেওয়া উচিত।’’
আরও পড়ুন: মোদির ‘আচ্ছে দিনে’র কী নমুনা! পাঁচ বছরে ভারত ছেড়েছেন ৯ লক্ষ বৈধ নাগরিক
পরিবেশ রক্ষায় নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণের ডাক দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘শুধু সরকারের পক্ষে পরিবেশ বাঁচানো সম্ভব নয়। দপ্তরের তরফ থেকে সহযোগিতা করা হয়, কিন্তু সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’’
বন দফতর সম্পর্কে জনমানসে তৈরি হওয়া নানা ধারণা নিয়েও মুখ খোলেন তিনি। বলেন, ‘‘জঙ্গলে কিছু করলেই অভিযোগ ওঠে বন দফতরের দিকে। নগরায়ন বা শিল্পায়নের জন্য যখন গাছ কাটা হয়, তখন অনেকেই পরিবেশ রক্ষার কথা বলেন, কিন্তু গাছ লাগানোর দায়িত্বটা নিতে চান না।’’
রাজ্যের জঙ্গল বাড়ছে বলেও দাবি করেন বীরবাহা। বলেন, ‘‘আমরা পশ্চিমবঙ্গে ২২.৮ শতাংশ জঙ্গল বৃদ্ধির লক্ষ্য পূরণ করেছি। মানুষের মধ্যে বৃক্ষরোপণ নিয়ে সচেতনতা বেড়েছে। এখন সবাই বুঝতে পারছেন, গাছ ছাড়া উপায় নেই।’’
অনুষ্ঠানে বিরোধী দলের পাশাপাশি সরকার পক্ষের বহু বিধায়ক অনুপস্থিত ছিলেন। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অধ্যক্ষ। তিনি বলেন, ‘‘বিধানসভার অনুষ্ঠান বলেই তো প্রত্যাশা ছিল সব বিধায়ক আসবেন। ব্যক্তিগত কাজ থাকতেই পারে, কিন্তু এই ধরনের অনুষ্ঠানের গুরুত্ব বোঝা উচিত।’’