সংবাদদাতা, বীরভূম : মুখ্যমন্ত্রীর অভিনব জনমুখী প্রকল্প ‘রূপশ্রী’র রূপায়ণে বীরভূম জেলা নজির স্থাপন করতে চলেছে। ২০১৮–র ১ এপ্রিল থেকে বিয়ের জন্য আর্থিক দিক থেকে অনগ্রসর পরিবার এই ভাতা পাচ্ছেন। ২০২০–র পয়লা ডিসেম্বর দুয়ারে সরকার চালু হওয়ার পর প্রাপকের হার ঊর্ধ্বমুখী। গতবার ৮৭ শতাংশের কিছু বেশি ছিল। এবার ৯৬ শতাংশের বেশি। গত অর্থবর্ষে ১৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। এবার প্রায় দশ শতাংশ বেড়েছে।
আরও পড়ুন-দেশের মধ্যে এগিয়ে বাংলা
রূপশ্রী বিভাগের আধিকারিক সুকান্ত শিকদার বলেন, কন্যাশ্রীর মতো নারীকল্যাণে মেয়েদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, বাল্যবিবাহ রোধে রূপশ্রীর বিকল্প সারা ভারতে নেই। ২০২১–২২–এ ১৫,৩৮০টি আবেদনপত্র জমা পড়ে। ১৪,৮০০টি মঞ্জুর হয়েছে। গত এপ্রিল থেকে জুন ৩,১৮০টি দরখাস্তের মধ্যে ৩,০৫৬ জন পেয়ে গিয়েছে। টাকা বণ্টন নিয়ে কোনও অভিযোগ এলে বিডিও এবং এসডিওর মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। উপভোক্তাদের বিয়ে হতে হবে। দরখাস্ত করতে হবে তার আগেই। একসঙ্গে কন্যাশ্রী দুই ও রূপশ্রীর আবেদন করা যায় না। মেয়ের বিয়ে দিতে গিয়ে মা–বাবাকে যাতে অকূল পাথারে না পড়তে হয়, তার জন্য এই ‘রূপশ্রী’ প্রকল্প। আর সেই প্রকল্পে বীরভূম জেলার সাফল্য দৃষ্টান্তমূলক। ৯৬ শতাংশের কিছু বেশি।