টানা ৪ দিন বন্ধ থাকবে বীরেন্দ্র শাসমল সেতু (Birendra sasmal setu)। ১৭ অগস্ট রাত ১১টা থেকে আগামী সোমবার, ২১ অগস্ট রাত ১১টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে এই সেতু। সেতুর ভার বহন পরীক্ষা এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কাজ চলবে। শুধুমাত্র অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি পরিষেবার গাড়ি ছাড়া অন্যান্য ভারী যান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি বলেন, “সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ভারি যান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। লোড টেস্টিংয়ের কাজ করা হবে। বিকল্প রাস্তা দিয়ে চলাচল করবে গাড়ি। ৯৬ ঘণ্টার জন্য ওই নির্দেশিকা।” পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, “জরুরী ভিত্তিতে শুধু অ্যাম্বুল্যান্স চলবে ওই রাস্তা দিয়ে। খড়গপুর-মেদিনীপুর শহরের যোগাযোগের জন্য কাঁসাই নদীর উপর সাঁকো, নৌকার ব্যবহার করতে পারবেন মানুষজন। কলকাতা বা পূর্ব মেদিনীপুর থেকে যারা মেদিনীপুর আসবেন তাদের মেছোগ্রাম থেকে দাসপুর হয়ে যাতায়াত করতে হবে।”
আরও পড়ুন- সুপার-ডিন থেকে নিরাপত্তারক্ষীকে জেরা পুলিশের
কংসাবতি নদীর উপর তৈরি বীরেন্দ্র সেতু (Birendra sasmal setu) মেদিনীপুর-খড়্গপুর সড়ক যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক এই সেতুর উপর দিয়েই গিয়েছে। সেতু পুরোপুরি বন্ধ রেখে কাজ করার জন্য জেলাস্তরে বৈঠকও হয়েছিল। গত ৭ অগাস্ট চিঠি দিয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ৯৬ ঘণ্টা সময় চেয়েছিল। এই সময়ের মধ্যে তারা সেতুটি কতটা ওজন নিতে পারবে তার পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাবেন। সেই মর্মে জেলাশাসক ওই নির্দেশিকা জারি করেছেন। পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়া জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদেরও বিষয়টি নিয়ে অবগতি করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর। খড়গপুর-মেদিনীপুরের যোগাযোগকারী একমাত্র রাস্তা ওই সেতু। ৯৬ ঘণ্টা সেই রাস্তা বন্ধ থাকলে দুই শহরের মধ্যে যোগাযোগ যেমন বন্ধ হয়ে যাবে। সুতরাং এর জেরে বহু মানুষ সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন বলে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।