সংবাদদাতা, বোলপুর: পেনশনভোগীদের ন্যায্য আন্দোলনে সামিল হওয়ার কারণে এবার প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধিকেও ক্ষমা চাইতে কড়া নির্দেশ দিল বিশ্বভারতী। বিশ্বভারতীর আচার্য প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতিনিধি দুলালচন্দ্র ঘোষকে পাঠানো কর্তৃপক্ষের এই নির্দেশে হতবাক বিভিন্ন মহল। এ ব্যা পারে দুলালবাবুকে ফোনে ধরা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে যা বলার আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী এবং বিশ্বভারতীকে যথাসময়ে জানাবেন।
আরও পড়ুন : কামারহাটির দুয়ারে সরকারে বিজেপির গুলি, বোমাবাজি
ই-মেলে পাঠানো নির্দেশে দুলালবাবুকে বলা হয়েছে, তিনি বিশ্বভারতীর পেনশনভোগীদের আন্দোলনে সামিল হচ্ছেন। এছাড়া গণমাধ্যমে মুখ খুলে কর্মসমিতির বৈঠকের গোপনীয়তা নষ্ট করছেন। এর ফলে ক্ষুণ্ণ হচ্ছে কর্মসমিতির গুরুত্ব। এই অভিযোগের জন্য তাঁকে আগামী ইসি বৈঠকে ক্ষমা চাইতে হবে। না হলে ওই বৈঠকে যোগ দিতে দেওয়া হবে না। জানা গিয়েছে, ২৩ অগাস্ট সন্ধা ৭টা ও রাত্রি ১১টা নাগাদ বিশ্বভারতীর তরফে ই-মেল মারফত দুলালবাবুর কাছে এই সতর্কীকরণ চিঠি আসে। নির্ভরয়োগ্য সূত্রে খবর, ওই ইসি বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় হল জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সমর্থনে বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে সংগঠিত হতে চলা অধ্যাপক, কর্মী ও ছাত্রছাত্রীদের বৃহত্তর আন্দোলনকে রোখার উপায় স্থির করা।