সংবাদদাতা, বোলপুর : শেষমেশ আদালত অবমাননার ভয়ে এবং বাধ্য হয়েই বহিষ্কৃত তিন পড়ুয়াকে ফিরিয়ে নিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। আদালত আগেই বহিষ্কৃতদের ফিরিয়ে নেওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছিল। তাতেও টনক নড়েনি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের। নানা টালবাহানা চালাচ্ছিল। শেষে আদালত অবমাননার অভিযোগ ওঠার পরই তড়িঘড়ি শুক্রবার সন্ধেয় পড়ুয়াদের ক্লাস করার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বিদ্যাভবনের সোমনাথ সৌ, ফাল্গুনী পান এবং রূপা চক্রবর্তী— তিন বহিষ্কৃত পড়ুয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতিহিংসামূলক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। সেই মামলায় গত ৮ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট তিন পড়ুয়াকে বহিষ্কারের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ দেয়। সেই সঙ্গে তিন পড়ুয়াকে ক্লাস করার অনুমতি দিতেও আদেশ দেন।
আরও পড়ুন :মুখ্যমন্ত্রীর জয় কামনা করে,.নন্দীগ্রামে পুজো কর্মীদের
হাইকোর্টের এই আদেশের জেরে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে ইতি টানেন। অবস্থানমঞ্চ খুলে ফেলা হয়। কিন্তু তার পরেও বিশ্ববিদ্যালয় তিন পড়ুয়াকে ক্লাস করার অনুমতি দেয় না। পড়ুয়াদের ই-মেল আবেদনের জবাবও দেয় না। নিরুপায় হয়ে বহিষ্কৃত পড়ুয়ারা আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করার তোড়জোড় শুরু করেন। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও ক্লাস করার অনুমতি চেয়ে চিঠি দেন। তিনজনে আলাদা করে চিঠি দেন প্রোক্টর শঙ্কর মজুমদারকে । এই নানাবিধ চাপেই শুক্রবার সন্ধেয় প্রোক্টর বিদ্যাভবনের অধ্যক্ষকে চিঠি লিখে হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর করতে বলেন। আদালতের নির্দেশ পালন করতে এত দেরি হল কেন, তা নিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, পুরোটাই উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর গোঁয়ার্তুমির ফল।