প্রতিবেদন : অর্জুন সিং তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার ৭২ ঘণ্টা পরেও তার আফটার শকে বিধ্বস্ত গোটা বিজেপি শিবির। কলকাতা হোক কিংবা দিল্লি, বিজেপির নেতারা এখনও অর্জুন হারানোর শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি। আর তা পারেননি বলেই ভেঙে পড়েছে বিজেপি নেতাদের যাবতীয় বর্ম। প্রকাশ্যেই একে অপরের বিরুদ্ধে সমানে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি চলছে যা নিয়ে বিজেপির অন্দরেই শুরু হয়েছে প্রবল আলোড়ন। বিশেষ করে গত ৪৮ ঘণ্টায় দিলীপ ঘোষ ও অনুপম হাজরা একে অপরের বিরুদ্ধে রীতিমতো কার্পেট বম্বিং করছেন।
আরও পড়ুন-শিয়ালদহ-ফুলবাগান মেট্রো মঙ্গলবার
সোমবার দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, সোশ্যাল মিডিয়া, ট্যুইটার এসব করে দলকে চাঙ্গা করা যায় না। দলকে চাঙ্গা করতে হলে পথে নেমে আন্দোলন করতে হয়। আজ তার পাল্টা অনুপম হাজরার বক্তব্য, সামাজিক মাধ্যমকে দলীয় কাজ পরিচালনায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হিসেবে ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে। এখানেই থামেননি অনুপম। তিনি বলেন, তাঁর বোঝা উচিত, প্রধানমন্ত্রী সামাজিক মাধ্যমের উপর কতটা গুরুত্ব দেন। যদি সামাজিক মাধ্যমের গুরুত্ব না থাকত, তাহলে তিনি এত গুরুত্ব দিতেন না। দলে বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমেও অবদান রাখা যায়। দিলীপবাবু হয়তো এই ব্যাপারটা জানেন না।
আরও পড়ুন-টাকা নয়ছয় চলবে না জানিয়ে দিলেন ফিরহাদ
এরপরেও আরও একধাপ এগিয়ে অনুপম তীব্র কটাক্ষে বলেন, কেউ যদি দুধ থেকে সোনা আবিষ্কার করতে যান, এইরকম আইনস্টাইন-মার্কা কথা বলেন, সেক্ষেত্রেও সংগঠনের ক্ষতি হয়। আমার মনে হয়, সবদিক থেকে ভেবেচিন্তে কথা বলা উচিত। এর পাল্টা জবাব দিয়েছেন দিলীপ ঘোষও। অনুপমকে কার্যত চ্যালেঞ্জ করে দিল্লিতে তিনি বলেন, যাঁরা সোনাও বোঝেন না, দুধও বোঝেন না, তাঁদের জিতে দেখিয়ে দেওয়া উচিত তাঁরা দলকে কী দিয়েছেন। আমি আবার চ্যালেঞ্জ করছি, আজ দলের সময় খারাপ, পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে বলে বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে। একবার পিছন ঘুরে দেখান। এই দুঃসময়ে তাঁরা দলকে দাঁড় করাতে কী করছেন? জ্ঞান দিয়ে দলকে দাঁড় করানো যায় না। তার জন্য মাঠে-ময়দানে লড়াই করতে হয়।