বিজেপির এজেন্ট রাজ্যপালের অনৈতিক চিঠি, বৈধতাই নেই বললেন প্রাক্তন উপাচার্য

এদিকে সেই অপসারণ করা উপাচার্যকেই এদিন তিনি চিঠি দিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গত বছর ডিসেম্বর মাসে হওয়া সমাবর্তনের টাকা ফেরত চেয়েছেন।

Must read

প্রতিবেদন : বিজেপির এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে গিয়ে নীতি নৈতিকতা সব ভুলে বসে রয়েছেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি নিজে কখন কী কাজ করছেন তার সামঞ্জস্য নিজেই রাখতে পারছেন না। মেয়াদ ফুরোনোর চারদিন আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তকে সরিয়ে দিয়েছেন তিনি। এদিকে সেই অপসারণ করা উপাচার্যকেই এদিন তিনি চিঠি দিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গত বছর ডিসেম্বর মাসে হওয়া সমাবর্তনের টাকা ফেরত চেয়েছেন। তার এই বালখিল্য সুলভ কাজে রীতিমতো হাসির রোল উঠেছে।

আরও পড়ুন-পরীক্ষায় ফেল আরও ১০৪টি জাল ওষুধে বাড়ছে আতঙ্ক

শনিবার রাজভবনের তরফে যাদবপুরের সদ্য প্রাক্তন উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তকে একটি চিঠি পাঠানো হয়। সেখানে লেখা রয়েছে, গত বছর ২৪ ডিসেম্বর যে সমাবর্তন অনুষ্ঠান হয়েছে তাতে নাকি আচার্যের অনুমোদন নেওয়া হয়নি। এমনকী যে নিয়ম মানার প্রয়োজন ছিল তাও মানা হয়নি। এরপরেই ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে সমাবর্তনের জন্য যা খরচ হয়েছে অবিলম্বে তা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করতে হবে ভাস্কর গুপ্তকে। টাকা জমা করা না হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কিন্তু আসল বিষয়ে দৃষ্টিপাত করলে জানা যাবে, যখন সমাবর্তনের আগে বৈঠক করা হয়েছিল তখন সেখানে আচার্যের দু’জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। তারা সমাবর্তনের জন্য অনুমতি দিয়েছিলেন। এছাড়াও এখন ভাস্কর গুপ্ত কোনওভাবেই উপাচার্য নেই, সুতরাং নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে রাজ্যপাল তথা আচার্য সরাসরি চিঠি দিতে পারেন না। এক্ষেত্রে কোনও শিক্ষককে ব্যক্তিগত চিঠি দিতে হলে তা প্রথমে পাঠাতে হয় শিক্ষা দফতরের কাছে। এরপর শিক্ষা দফতর সেই চিঠি পাঠাবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে। তাই কোনওভাবেই এই চিঠি এখন বৈধ নয়। সর্বোপরি এই সমাবর্তন হওয়ার জন্য টাকা দিয়েছিল রাজ্য সরকার। কোনওভাবেই কেন্দ্রের টাকায় এই সমাবর্তন হয়নি সুতরাং কেন্দ্রের তরফের এই টাকা দাবি করার কোনও অধিকার নেই। এ প্রসঙ্গে তীব্র বিরক্তি প্রকাশ করে ভাস্কর গুপ্ত জানিয়েছেন, আমি এখন উপাচার্য নেই। আমাকে এই চিঠি দেওয়ার কোনও বৈধতা নেই। আগেও ছিল না। আমার নূন্যতম আত্মসম্মান আছে। মানুষ যা বোঝার বুঝে যাবে। সরকার যদি আইনগত পদক্ষেপ নেয় অবশ্যই আমি আছি। আমি নিজে থেকে কিছু করছি না। এই নিয়ে আর কোনও মন্তব্য করব না।
আচার্যর এইরকম আচরণ থেকে স্পষ্ট তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে, তার পদের গরিমা নষ্ট করে বিজেপির হয়ে কাজ করছেন। সম্পূর্ণভাবে বিজেপির কথায় পক্ষপাততুষ্ট হয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুচারুভাবে ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছেন।

Latest article