প্রতিবেদন: মঙ্গলবার বামপন্থী ছাত্র-যুবদের সভায় কোনও নেতার মুখে একবারও শোনা গেল না বিজেপির নাম। নিশানায় কেবলই তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ধ্বজাধারী বামেদের মঙ্গলবারের সভা আরও একবার বুঝিয়ে দিল মাঠের বাইরে রাম-বামের অলিখিত বোঝাপড়া।
আরও পড়ুন-ডলার নয়, বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য রুপিতে, সম্মতি দিল এসবিআই
সিপিএম এখন বিজেপির বি টিম হিসেবেই কাজ করছে। এই ভাষাতেই এদিন বামেদের তীব্র আক্রমণ করল তৃণমূল কংগ্রেস শিবির। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, বামেরা এখন বিজেপির হয়ে কাজ করছে। সিপিএম এখন বিজেপির বি টিম। বিজেপি তৃণমূলের সঙ্গে একা লড়াই করতে পারছে না। তাই সিপিএমকে ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, গণতন্ত্রে বিরোধীদের মিটিং-মিছিল করতে বাধা নেই। তাই সিপিএমের সভা নিয়ে কিছু বলার নেই। তারা সুষ্ঠুভাবে সভা করেছে। বিজেপির থেকে তাদের সভা-সমাবেশ ভালভাবে হয়েছে। তারা রাজনৈতিক সভার নামে গন্ডগোল করেনি, পুলিশ মারেনি, পুলিশের গাড়িও জ্বালায়নি।
আরও পড়ুন-কালো টাকা রুখতে প্রস্তাব দিল কমিশন
আনিস খানের প্রসঙ্গে টেনে কুণাল বলেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আনিস খান ইস্যু বারবার সামনে আনা হচ্ছে। কিন্তু এটা একটা বিচারাধীন বিষয়। তারপরই বাম ছাত্র-যুবদের উদ্দেশ্য করে কুণাল বলেন, তাঁদের এটা মনে রাখা উচিত, আজ যেখানে তাঁরা সভা করলেন সেখানে ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামীদের বাম সরকারের পুলিশ গুলি করে মেরেছিল। যেখানে সভা হল, স্লোগান উঠল সেই জায়গাই শহিদের রক্তে একদিন লাল হয়েছিল। রাজপথে পড়েছিল শহিদদের মৃতদেহ। ঠিক পুজোর মুখে জনজীবন স্তব্ধ করে দিয়ে শহরের প্রাণকেন্দ্রে এদিন সভা করে বামেরা। মঙ্গলবার বামেদের এই সভায় কোনও পুলিশি অনুমতিও ছিল না। তারপরও বেআইনি ভাবে সভা করলেন বামপন্থী নেতারা। তাঁদের বেআইনি সভার জেরে স্তব্ধ হয়ে যায় শহরের প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলা চত্বর। চরম ভোগান্তিতে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। পুজোর মুখে এই সভা হওয়ায় মার খেল পুজোর কেনাকাটা, যার জেরে বিরক্ত ব্যবসায়ীরাও।