প্রতিবেদন : আবারও বেআব্রু হয়ে গেল বিজেপির আসল চেহারাটা। বেরিয়ে পড়ল নখ-দাঁত। উত্তর কলকাতার বিডন স্ট্রিটে এক বিজেপি নেতার বাড়ির বেআইনি অংশ পুরসভা বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়ার প্রতিবাদের নামে পুরসভায় (KMC) গিয়ে রীতিমতো তাণ্ডব চালাল গেরুয়া-বাহিনী। বিজেপির এক নেতার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের হাতে আক্রান্ত হলেন তৃণমূলের কাউন্সিলররা এমনকী মহিলা কাউন্সিলররাও। শনিবার ছিল পুরসভার মাসিক অধিবেশন। সেখানে এক বিজেপি কাউন্সিলর বিষয়টি তুললে চেয়ারপার্সন মালা রায় স্পষ্ট জানিয়ে দেন, অধিবেশনে এ নিয়ে আলোচনা করা যায় না। চিৎকার-চেঁচামেচি জুড়ে দেন বিজেপি কাউন্সিলররা। এরপর কাউন্সিলর্স ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করতে দলবল নিয়ে ঢুকে পড়েন কয়েকজন বিজেপি কাউন্সিলর। যাঁর বেআইনি বাড়ির অংশ ভেঙে দিয়েছে পুরসভা, সেই গেরুয়া নেতাও ঢুকে পড়েন। কিন্তু সঙ্গত কারণেই আপত্তি জানান তৃণমূল কাউন্সিলররা। তাঁদের আপত্তির কারণ, এই কক্ষে কোনও দলের সাংবাদিক সম্মেলন করা যায় না। সেখানে চলে আসেন তৃণমূল কাউন্সিলর অসীম বসু, সুদীপ পোল্লে, বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তরা। আসেন তৃণমূলের কয়েকজন মহিলা কাউন্সিলরও। তাঁরা অনুরোধ জানান, কাউন্সিলর্স ক্লাবের ঐতিহ্য নষ্ট করবেন না। কিন্তু সেসব কথা কানে না তুলে তৃণমূল কাউন্সিলরদের উপরে কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়ে গেরুয়া গুন্ডারা। বেধে যায় হাতাহাতি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা কেন সেখানে, প্রশ্ন ওঠে তা-ই নিয়ে। ছুটে আসেন কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকরাও। পুরসভার (KMC) চেয়ারপার্সন মালা রায় (Mala Roy) স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন কোনও দলের কাউন্সিলররাই এভাবে সঙ্গীসাথীদের নিয়ে কাউন্সিলর্স ক্লাবে ঢুকতে পারেন না। যদি কেউ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এটা করে থাকেন তবে তা কোনওমতেই বরদাস্ত করা হবে না। এদিকে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের পুরসভায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলররা। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন চেয়ারপার্সন।