প্রতিবেদন : লোকসভা নির্বাচন থেকেই শনির দশা শুরু হয়েছে বিজেপির। মুখ থুবড়ে পড়েছে মোদি-শাহের ভাঁওতাবাজি। সরকার গঠনে আগেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছিল বিজেপি। এবার রাজ্যসভাতেও কমল বিজেপির আসনসংখ্যা। সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাল এনডিএ জোটও। শনিবার রাষ্ট্রপতি মনোনীত রাজ্যসভার চার সদস্যের মেয়াদ শেষ হয়েছে। বিজেপির পরামর্শেই এই চার সদস্যকে মনোনীত করেছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ২৪৫ আসন বিশিষ্ট রাজ্যসভায় এবার বিজেপির সদস্যসংখ্যা কমে দাঁড়াল ৮৬, যেখানে সংসদের উচ্চকক্ষে ইন্ডিয়া জোটের সদস্যসংখ্যা ৮৭। অর্থাৎ এবার রাজ্যসভায় যেকোনও বিল পাশের ক্ষেত্রে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হবে বিজেপি।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কৃষকদের থেকে পেঁয়াজ কেনা শুরু
সেক্ষেত্রে শরিকদের উপরই নির্ভরশীল থাকবে ভাজপা। শরিকরা সঙ্গ না দিলে বিজেপির যেকোনও বিল অনায়াসেই আটকে দিতে পারে ইন্ডিয়া জোট। শনিবার রাজ্যসভায় বিজেপির রাকেশ সিনহা, রাম শাকল, সোনাল মানসিংহ এবং মহেশ জেঠমলানির মেয়াদ সম্পূর্ণ হয়েছে। ফলে ফাঁকা হয়েছে বিজেপি তথা এনডিএ-এর আসন। ২৪৫ আসনবিশিষ্ট রাজ্যসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য কোনও দল বা জোটের সঙ্গে ১১৩ জন সদস্যকে থাকতে হয়। সেখানে বর্তমানে এনডিএ-র সদস্যসংখ্যা এখন ১০১, সংখ্যাগরিষ্ঠতার তুলনায় ১২টি আসন কম। ফলে এতদিন যেভাবে বিরোধীদের চুপ করিয়ে যেকোনও বিল স্বৈরাচারী কায়দায় পাশ করিয়েছে বিজেপি, এবার আর সেই স্বেচ্ছাচারিতা চলবে না। এবার বিল পাশের জন্য শরিকদের পাশাপাশি কোনও জোটেরই শরিক নয় এমন দলগুলিকেও তোয়াজ করে চলতে হবে বিজেপিকে। আর এনডিএ-এর কোনও শরিকদল জোট থেকে পিছিয়ে এলে কিংবা জোট নিরপেক্ষ দলগুলি বিরোধী ইন্ডিয়া জোটে শামিল হলেই বিজেপির গাজোয়ারি বন্ধ হয়ে যাবে।