প্রতিবেদন : ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে সোমবার রাতে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মাথা উঁচু করে সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে যে প্রশ্নগুলি ছুঁড়ে দিয়েছেন, তা নিয়ে নাজেহাল বিজেপি। বাংলা তো বটেই, সারা দেশে অভিষেকের আগুনে সংলাপ নিয়ে ঝড় উঠেছে। বিজেপিকে প্রকাশ্য চ্যালেঞ্জ, হারানোর আগাম দৃপ্ত ঘোষণার পাশাপাশি যে প্রশ্ন তিনি তুলে দিয়েছেন, তা এখন সর্বত্র আলোচ্য।
১) রাজনীতিতে পাল্লা দিতে না পেরে অভিষেকের বিরুদ্ধে কুৎসা, চক্রান্ত হচ্ছে। যদি দশ পয়সা অনিয়মেরও প্রমাণ থাকে, তাহলে কেন তা জনসমক্ষে আনা হচ্ছে না?
২) ভিত্তিহীন অভিযোগেও যে মামলা হচ্ছে, সেটি কলকাতা জোনের। তাহলে কার নির্দেশে এবং কেন মামলা দিল্লিতে এনে অভিষেক এবং কয়েকজনকে সেখানে ডাকা হচ্ছে?
৩) যেখানে গোটাটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভিত্তিহীন অভিযোগ, সেখানে বিজেপির নির্দেশে সিবিআই, ইডি অতিতৎপর। আর যেখানে শুভেন্দু অধিকারী ক্যামেরার সামনে টাকা নিয়েছেন, সিবিআইয়ের এফআইআরে নাম আছে, সিবিআই তাঁকে ধরে না। ইডি চার্জশিট দেয় না। সারদার সুদীপ্ত সেনের চিঠিতে শুভেন্দু অধিকারী এবং অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলেও তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হয় না। কেন এঁদের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি নীরব? বিজেপিতে নাম লেখালেই তাঁরা তদন্তের বাইরে?
আরও পড়ুন-দেশ বেচছেন মোদি, বাংলা গড়ছেন মমতা
অভিষেকের এই তিন মূল প্রশ্ন নিয়ে জল্পনা সর্বত্র। ন’ঘণ্টা জেরার পরেও যেভাবে বুক চিতিয়ে সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য রেখেছেন, তা রীতিমতো চমকে দিয়েছে সকলকে। অভিষেক বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি ভয় পাচ্ছেন না, বিজেপিকে হারাতে লড়াই চালাবেন। বাংলার বিজেপির যে বিধায়করা তৃণমূলে আসতে চান, পর্যায়ক্রমে তাঁদের পাশে থাকবেন। আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি অভিষেক রাজনৈতিক লড়াইটা যে উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন, তা নজিরবিহীন। তাঁর জোরালো যুক্তিসম্মত বক্তব্য এবং আত্মবিশ্বাসী শরীরী ভাষা এখন স্নায়ুযুদ্ধে চাপে ফেলে দিয়েছে বিজেপিকে।