সংবাদদাতা, নন্দীগ্রাম : নন্দীগ্রাম ১ ব্লকে বিজেপি পরিচালিত নন্দীগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে একাধিক কাজের জন্য জোরপূর্বক টাকা নিয়েছেন, এই অভিযোগ তুলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে বিডিও অফিসের সামনে মঙ্গলবার অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হন তৃণমূলের নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা। এর ভিত্তিতে প্রধান লক্ষ্মীকান্ত জানা-সহ দুই কর্মীকে শোকজও করলেন বিডিও। জানা গিয়েছে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই পঞ্চায়েতে ক্ষমতা দখল করে বিজেপি। প্রধান হন লক্ষ্মীকান্ত জানা। তাঁর বিরুদ্ধেই একাধিক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগও জমা দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, নন্দীগ্রাম ৭ নম্বর সংসদে প্রবীর মাইতির বাড়ির পিছন থেকে জয়দেব পালের জায়গা পর্যন্ত একটি কংক্রিটের ড্রেন নির্মাণের কথা ছিল। সেটি নির্মাণ না হওয়া সত্ত্বেও সব টাকা পেমেন্ট করা হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন-এশীয় অ্যাথলেটিক্সে সোনা জয় গুলবীরের, কাটল আট বছরের খরা
এছাড়াও কমপক্ষে ৪০ থেকে ৫০টি ব্যক্তিগত বাড়িতে সাবমার্সিবল পাম্প বসানোর ক্ষেত্রে প্রধান জোরপূর্বক প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে তুলে সবটাই নিজে আত্মসাৎ করেছেন। জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র সংশোধন এবং ডিজিটাল করার ক্ষেত্রেও প্রত্যেকের কাছ থেকে মোটা টাকা নিয়েছেন অভিযুক্ত প্রধান। এছাড়াও মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ঘর ও দোকান করার অনুমোদন দিয়েছেন সরকারি জায়গার ওপর। এলাকায় নতুন ঘর নির্মাণের ক্ষেত্রেও সরকারি অনুমোদন ছাড়া প্রত্যে বেনিফিশিয়ারির কাছ থেকে মোটা টাকা আদায় করেছেন তিনি। তাই প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ করেন তৃণমূলের নেতা-জনপ্রতিনিধিরা। নন্দীগ্রাম ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, ‘‘কাজ না করে বিজেপি দিনে পুকুরচুরি করার মতো সরকারি টাকা লুট করছে। আমরা বিডিও এবং ডিএমের কাছে অভিযোগ জমা করেছি। অবিলম্বে প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।’’ যদিও এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধানকে ফোন করা হলে ফোন তোলেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের বিডিও সৌমেন বণিক প্রধান ও দুই পঞ্চায়েত কর্মীকে শোকজ করেছেন।