বিধানসভা নির্বাচনের পরই গোটা রাজ্য জুড়েই বিজেপিতে ভাঙন শুরু হয়েছে। শুরু হয়েছে তীব্র গোষ্ঠীকোন্দল। একাধিক বিজেপি বিধায়ক, নেতা-কর্মী দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। জলপাইগুড়ি জেলায় গোষ্ঠীকোন্দল এতটাই চরমে, যে তা মেটাতে রাজ্য সভাপতিকে ফরমান পাঠাতে হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা সভাপতি ও আহ্বায়কদের মণ্ডল সভাপতিদের নিয়ে বিধানসভাভিত্তিক বৈঠক করতে হবে। এক্ষেত্রে জেলা সভাপতি ও মণ্ডল সভাপতিদের গুরুত্ব অনেকটাই বাড়ছে। ফরমানে বলা হয়েছে, জেলার সাংগঠনিক ক্ষেত্রে জেলা সভাপতি ও আহ্বায়করাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। জলপাইগুড়িতে এমন নির্দেশ আসায় বিজেপির দলীয় কোন্দল ফের প্রমাণিত। তবে গোষ্ঠীকোন্দলের কথা অস্বীকার করেছে জেলা বিজেপি। জেলা সহ-সভাপতি অলোক চক্রবর্তী বলেন, সাংগঠনিক বৈঠকের ওপরেই জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বুথস্তরে সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেই এমন বৈঠকের আয়োজন। বিজেপি নেতারা যাই বলুন। জেলায় যে গোষ্ঠীকোন্দল প্রবল, তা সর্বজনবিদিত। গত বিধানসভা ভোটে সামান্য ব্যবধানে পরাজিত হন বিজেপি প্রার্থী সৌজিত সিং। প্রথমবারের জন্য জলপাইগুড়ি বিধানসভা দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। ভোটের আগেই প্রার্থীপদ নিয়ে বিজেপি নেতা দীপেন প্রামানিক ও জেলা বিজেপি সভাপতি বাপি গোস্বামীর মধ্যে বিরোধ চরমে ওঠে। দীপেন গোষ্ঠী ভাঙচুরও চালিয়েছিল জেলা কার্যালয়ে।
আরও পড়ুন: বিপ্লব দেবের বিজেপি সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানাতে ত্রিপুরা যাচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল