প্রার্থী করতে নগদ লেনদেন ,দুর্নীতির এভারেস্টে বিজেপি

Must read

সংবাদদাতা, পটাশপুর: রাজ্য বিজেপির দুর্নীতি একেবারে হিমালয় ছাড়াল! ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়ল বেড়াল। বিধানসভা ভোটে প্রার্থিপদের জন্য যে লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছে, সে-খবর চলে এল প্রকাশ্যে।
আর সরাসরি সেই অভিযোগ করেছিলেন অন্য দলের কেউ নন, বিজেপি নেতা তথাগত রায়। সেই অভিযোগ হাতেকলমে প্রমাণিত হল বিজেপিরই এক প্রার্থীর চিঠি সামনে চলে আসায়। হিমালয়-ছাড়ানো এই দুর্নীতিকে অবশ্য রাজনৈতিক মহল হিমবাহের চুড়ো বলছেন।
মানসরঞ্জন সামাই বিধানসভা ভোটে পটাশপুর কেন্দ্রে বিজেপির টিকিটে প্রার্থী হতে চেয়ে দিয়েছিলেন ২৩ লক্ষ টাকা। প্রার্থী হতে না পেরে সেই টাকা ফেরত চান। টাকা না পেয়ে বিজেপির তৎকালীন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে লিখিত অভিযোগ জানান পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর ১ উত্তর মণ্ডলের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি মানসরঞ্জন। রাজ্যে পুর ভোটের আগে সেই চিঠি প্রকাশ্যে আসতেই, প্রবল অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। চিঠিতে মানসের দাবি, প্রতিশ্রুতি মতো রাজ্য বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার মহিলা সহ-সভানেত্রী মুক্তারুন বিবিকে টিকিটের জন্য তিনি পাঁচ দফায় ২৩ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। তাতেও না পেয়েছেন টিকিট, না টাকা ফেরত। দিলীপকে বিজেপির দলীয় প্যাডে লেখা চিঠিতে টাকা ফেরত না পেলে আত্মহত্যার কথা লিখেছেন পেশায় গ্রামীণ চিকিৎসক এই বিজেপি নেতা। আর তাঁর মৃত্যুর জন্য ওই রাজ্য বিজেপি নেত্রী দায়ী থাকবেন বলেও উল্লেখ করেছেন। মানসের দাবি, এই চিঠি তিনি পাঠিয়েছেন তৎকালীন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী এবং রাজ্য সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি আলি হোসেনকেও।

আরও পড়ুন : তৃণমূলের নামে টাকা তোলার অভিযোগ

মানস বলেন, ‘আমি অন্যদের থেকে চেয়েচিন্তে টাকা জোগাড় করেছিলাম। পাঁচ দফায় মুক্তারুন বিবিকে দিয়েছিলাম। অথচ টিকিট পান অম্বুজাক্ষ মহান্তি। তিনি হেরেছেন। মুক্তারুন বিবি টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করছেন। এমনকী আমাকে এড়িয়ে চলছেন। তাই চিঠি লিখেছি।’ বিজেপির রাজ্য সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি আলি হোসেন বলেন, ‘অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তরুণকুমার মাইতি বলেন, ‘টাকার বিনিময়ে বিজেপি যে প্রার্থী কেনে, একথা ওদের দলের নেতাই বলছেন। সুতরাং কাটমানির নায়ক কারা, তা সহজেই অনুমেয়।’ যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই মুক্তারুন বিবি বলেন, ‘আমি টাকা নিতে যাব কেন! বিজেপির নির্বাচন কমিটি প্রার্থী ঠিক করে। এক্ষেত্রে আমার কোনও হাত নেই। মানসবাবু চিঠির প্রেক্ষিতে দিলীপবাবু আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন। আমি উত্তর দিয়ে দিয়েছি।’

Latest article