প্রতিবেদন : রবিবার পুরভোটের দিন গোটা বাংলা দেখেছে রামধনু জোট। আর পরের দিন সোমবার মহানগরী দেখল মিথ্যাচারের মিছিল। বিধানসভায় জোট যে পরবর্তীতে ঘোঁটে পরিণত হয়েছে তা দেখিয়ে দিয়েছে পুরসভার নির্বাচন। কংগ্রেস ও বিজেপি রাজনৈতিক আলিঙ্গন ছেড়ে দুই শিবিরে বিভক্ত। বিধানসভা ভোটে বাংলার জনতা নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে বাম-কংগ্রেস জোটকে। বিজেপিও ভাঙতে শুরু করেছে। বিদ্রোহ দলের মধ্যে এবং প্রকাশ্যে। এই প্রেক্ষিতে পুরভোটে তৃণমূল কংগ্রেস যে এককভাবে ক্ষমতায় আসবে তা বলা বাহুল্য। এখন সময়ের অপেক্ষা পুরবোর্ড গঠনের। রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, নির্বাচন হয়েছে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ। কলকাতা পুলিশ প্রমাণ করে দিয়েছে ভোট পরিচালনার ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতাকে। কিন্তু বিরোধীরা বাংলার মানুষের রায় মেনে নিতে নারাজ। অভিযোগের নানা অজুহাত তুলে তারা জনজীবনকে বিপর্যস্ত করতে, শান্তি বিঘ্নিত করতে কমিশনকে অভিযোগ জানাতে মিছিল করল। যে মিছিলে ভিড় ছিল হাতেগোনার মতো।
আরও পড়ুন : পুলিশকে হুমকি শুভেন্দুর
প্রশ্ন হচ্ছে, বিরোধীদের অভিযোগ কার কাছে। আর বিচারই বা চাইছে কার কাছে। কারণ কমিশন ও পুলিশ প্রশাসন যেখানে ভোট পরিচালনার দক্ষতা প্রমাণ করে দিয়েছে, সেখানে মিথ্যাচারের অভিযোগ এনে এই মিছিল। সবটাই লোক দেখানো ছাড়া কিছুই নয়। বাংলায় বিরোধীদের রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা প্রকাশ্যে চলে এল। যাঁরা সারাবছর মানুষের সঙ্গে থাকেন না তাঁদের মানুষ কেন ভোট দেবেন। এই সহজ পাটিগণিতটি বিরোধীরা বুঝতে নারাজ। যে বিজেপি নেতৃত্ব বাংলার সঙ্গে মিথ্যাচার করেছে, তাদের আর যাই হোক এই বাংলাতে ঠাঁই হবে না। আর ক্ষমতায়নের জন্য বাম-কংগ্রেস হাত মেলানো এটা বুঝে গিয়েছে মানুষ। কারণ ইউপিএ-১ আমলে পরমাণু ইস্যুতে এই বামেরাই সমর্থন প্রত্যাহার করেছিল। রাজনীতির নামে ক্ষমতা দখল, এই ধূর্ত পদক্ষেপ বুঝে গিয়েছে বাংলার মানুষ। তাই নতুন কলকাতার পথচলা শুরু হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে। স্বচ্ছ পুরসভা গঠন করে সাধারণ মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দেওয়া হবে পুর পরিষেবাকে।