প্রতিবেদন: শুধু মোক্ষম ধাক্কা নয়, বিজেপিকে উচিত শিক্ষা দিল ভূস্বর্গের মানুষ। এক দশক পরে আয়োজিত জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা ভোটে উপত্যকাবাসী খেদিয়ে দিল বিজেপিকে৷ প্রতিবাদ জানাল কেন্দ্রীয় নীতির বিরুদ্ধে। গো-হারা হারল বিজেপি, জয়ী হল কংগ্রেস ও ন্যাশনাল কনফারেন্স জোট৷ পাঁচ বছর আগে কাশ্মীরের জাত্যাভিমানে আঘাত করে উপত্যকা থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করেছিল মোদি সরকার৷ এর দু’মাসের মধ্যেই কেড়ে নেওয়া হয়েছিল জম্মু-কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের অধিকার৷ জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলেন যে বিজেপির কেন্দ্র আসলে বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে তাঁদের। এর প্রতিবাদ করার জন্য উপত্যকাবাসীরা হাতিয়ার করলেন তাঁদের ভোটাধিকারকেই৷ দশ বছর পরে উপত্যকায় আয়োজিত বিধানসভা ভোটে অংশগ্রহণ করে উপত্যকা থেকে গেরুয়া শিবিরকে মুছে ফেললেন জম্মু-কাশ্মীরের অধিবাসীরা৷ শুধু তাই নয়, তাৎপর্যপূর্ণভাবে মোদির দল আস্থা হারিয়েছিলেন কাশ্মীরি পণ্ডিতদেরও। তাঁদের অভিযোগ, পণ্ডিতদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। তাই বিবেক অগ্নিহোত্রীর কাশ্মীরি ফাইলও মলম দিতে পারল না সেই ক্ষতে। এখানেই শেষ নয়, চাকরি এবং বিনিয়োগের ব্যাপারেও বিজেপির ফাঁকা বুলি ধরে ফেলেছিলেন উপত্যকার মানুষ।
আরও পড়ুন-মোদির মুখের উপর জবাব দিলেন বিনেশ
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৯০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৪৮টিতে জয়ী হতে চলেছে কংগ্রেস ও ন্যাশনাল কনফারেন্স জোট৷ বিজেপি এগিয়ে আছে ২৯টি আসনে৷ বিধানসভা ভোটে বিজেপির এই শোচনীয় ফল নিঃসন্দেহে চাপ তৈরি করবে মোদি সরকারের উপরে৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মাঠে নেমে ভূস্বর্গে লাগাতার প্রচার করার পরেও উপত্যকাবাসীর মনে বিজেপি কোনও প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি৷ আগামী দিনে সরকারের অন্দরে শরিক দলগুলিও বিজেপিকে চাপে ফেলতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।