প্রতিবেদন : স্বয়ংসেবক সংঘের গড় বলে পরিচিত নাগপুরে (Nagpur- BJP) লজ্জার ভরাডুবি গেরুয়া শিবিরের। সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচনে শূন্য পেল বিজেপি। ১০টি আসনের মধ্যে একটি আসনেও দেখা গেল না গেরুয়া ধ্বজা। পাশাপাশি আন্ধেরিতে বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী দিতে পারল না জে পি নাড্ডার দল। সবমিলিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলের দাবি করা বিজেপির এমনই লজ্জাজনক ছবি দেখা গেল মহারাষ্ট্রে।
শনিবার ছিল নাগপুর (Nagpur- BJP) পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচন। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল সংঘের খাসতালুক বলে পরিচিত এই অঞ্চলে সহজ জয় হাসিল করবে বিজেপি। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল সহজ জয় তো দূরে থাক, লজ্জার হার অপেক্ষা করছিল সংঘ গড়ে। পঞ্চায়েত সমিতির ১৩টি সভাপতি আসনের একটি আসনেও জয় পায়নি পদ্ম শিবির। নির্বাচনের যে ফলাফল প্রকাশ্যে এসেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে, কংগ্রেস পেয়েছে ৯টি আসন, শরদ পাওয়ারের দল এনসিপির ঝুলিতে গিয়েছে ৩টি এবং একটি আসন পেয়েছে শিবসেনা।
আরও পড়ুন-স্ট্যাম্প ডিউটি : রেকর্ড আয়
অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রে ঘোড়া কেনাবেচার অঙ্কে বিজেপি ও একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠী সরকার গঠন করেছে সদ্য। তবে সেখানে বিজেপির সাংগঠনিক ভিত যে কতখানি দুর্বল তার প্রমাণ মিলল আরও একবার। আন্ধেরি (পূর্ব) বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী দিতে পারল না বিজেপি। উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা এই উপনির্বাচনে প্রার্থী করেছে রুতুজা লাটকেকে। তিনি প্রয়াত বিধায়ক রমেশ লাটকের স্ত্রী। আন্ধেরি (পূর্ব) বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন শিবসেনার রমেশ লাটকে। তিনি প্রয়াত হওয়ার পর আসনটি ফাঁকা হয়। এরপর শিবসেনা ভেঙে যায়। রমেশ লাটকের স্ত্রী রুতুজাকে প্রার্থী করেন উদ্ধব। জানা গিয়েছে, শুরুতে বিজেপির তরফে একজন প্রার্থী ঠিক করা হলেও পরে লজ্জার হারের ভয়ে প্রার্থী দিতে রাজি হয়নি গেরুয়া শিবির।
পঞ্চায়েত সমিতি
মোট আসন : ১৩
কংগ্রেস : ৯
এনসিপি : ৩
শিবসেনা : ১
আন্ধেরি পূর্ব উপনির্বাচনে
প্রার্থী দিতে পারল না বিজেপি