সংবাদদাতা, রায়গঞ্জ: ভোট চাওয়ার অধিকার নেই বিজেপির। মোদি সরকারের শুধু ভাঁওতা। বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও শুধু হোর্ডিংয়েই সীমাবদ্ধ। আর ঘরে ঘরে মেয়েরা পাচ্ছেন মুখ কন্যাশ্রী। এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্যারান্টি। মঙ্গলবার দার্জিলিঙের প্রার্থী গোপাল লামার সমর্থনে নির্বাচনী জনসভায় এভাবেই ক্ষোভ উগরে দিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অভিনেতা তথা বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন-দুই প্রার্থীর প্রচারে ঝড় তুললেন দেব
মঙ্গলবার দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের তূণমুল কংগ্রেস প্রার্থী গোপাল লামার সমর্থনে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ায় রোড শো করেন তিনি। এদিন চোপড়ার কাঁচাকালি বাজার থেকে দাসপাড়া পর্যন্ত পদযাত্রায় শামিল হন। এদিন এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান সহ অন্যান্যরা। দাসপাড়ায় বিশাল জনসভায় বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী। এদিন জনসভায় তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বাংলার মেয়েদের বলেন, ‘‘ওরে মেয়ে তুই দেশকে নেতৃত্ব দিবি, আমি তোকে পড়াশোনার খরচ দেব।’’ ক্লাস নাইন থেকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন করাচ্ছেন দিদি। কন্যাশ্রী জোগায় পড়াশুনার খরচ। আগে গরিব মেয়ের বিয়ে হলে এলাকার ধনী ব্যক্তিদের কাছে চাইতে হত সাহায্য। সেই সাহায্যে হয়তো বিয়ে হলেও নববধূর আনন্দ না, বুক ভরে উঠত বিষাদে। মনে হত যেন ভিক্ষে করে বিয়ে দিতে হল তার গরিব বাবা-মাকে। আজ মুখ্যমন্ত্রীর রূপশ্রী প্রকল্পে সম্মানের সাথে বাবা-মা সন্তানের বিয়ে দেন মাথা উঁচু করে। গরিব মানুষের চিকিৎসার জন্য আছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তাই এখানে ভোট চাইবে কে! কংগ্রেস সিপিএম বা বিজেপি! ওদের ভোট চাওয়ার কোনও অধিকারই নেই। সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনাদের। যে ঐতিহ্যে মানুষ বড় হয়ে এসেছে এই বাংলায় বিজেপি সেই ঐতিহ্যকে নষ্ট করতে চায়। বাংলায় ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন করে মানুষকে সর্বধর্ম সমন্বয়ের ঐতিহ্যকে নষ্ট করে বিজেপি।