প্রতিবেদন : বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হওয়ার পরেই বাংলায় ফিকে হচ্ছে গেরুয়া রং। এই মন্তব্য কোনও অ-বিজেপি রাজনৈতিক দলের নয়, বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকেই উঠে এসেছে এই তথ্য। সূত্রের খবর, বিধানসভা নির্বাচনের পরেই বিজেপি ছেড়ে বিশেষ করে শাসকদল তৃণমূলে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। শুধু তাই নয়, বীজপুর-ব্যারাকপুর এলাকাতেই এই দলবদলের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি বলে খবর।
আরও পড়ুন : তফশিলি-অনগ্রসর কল্যাণে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
সম্প্রতি সামনে এসেছে, রিমঝিম মিত্রের খবর। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, “বন্ধুরা তৃণমূলে গিয়েছে। আমাকেও ভাবতে হবে”। এর আগে অনিন্দ্য পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় , রূপা ভট্টাচার্যকে বিজেপি ছেড়ে বামেদের মিছিলে হাঁটতে দেখা গিয়েছে। এবার বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে তথ্য, “বঙ্গে ফিকে হচ্ছে গেরুয়া। বিধানসভা নির্বাচনের আগে ক্ষমতায় আসার ফানুস উড়িয়ে ছিল পদ্ম শিবির। কিন্তু ফল বেরোনোর পর দেখা গিয়েছে দুই অঙ্ক পেরোতে পারেননি তারা। এতেই অনেকের মোহভঙ্গ হয়েছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। আবার কারও কারও মতে, ক্ষমতার লোভে যারা গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন, এখন তাঁরা সেখানে থাকতে চাইছেন না। শুধু শিল্পী মহলের নয়, পোড়খাওয়া রাজনৈতিক নেতা যাঁরা ভোটের আগে শিবির বাদল করেছিলেন, তাঁরাও আবার পদ্ম ছাড়তে চাইছেন।
আরও পড়ুন : তৃণমূল আমলে শিক্ষকদের পরিস্থিতি জেনে কথা বলুক বিরোধীরা : কুণাল ঘোষ
বিধানসভা নির্বাচনের আগেই আদি-নব্যের দ্বন্দ্বে জেরবার হয়েছিল বিজেপি। নির্বাচনের পরেও আদিরা আর সেভাবে সক্রিয় হননি। নব্যদের নিয়ে খুশি নন রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্ব। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় নেতারা কী নিদান দেন সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্যের পদ্ম শিবির।
তবে, তৃণমূল নেতা তথা সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় , সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, বিজেপি শিবির ফাঁকা হয়ে যাবে- এই ভবিষ্যৎবাণী তাঁরা আগেই করেছিলেন। এখন সেই কথাযই মিলে যাচ্ছে। “নীতিহীন রাজনীতির ফল পাচ্ছে গেরুয়া শিবির”।