ফের একবার বাংলার নামে কুৎসা রটাতে গিয়ে বিপাকে বঙ্গ বিজেপি (BJP)। গতকাল নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়াতে একটা পোস্ট করে বিজেপি। সেখানে দেখা যায় একদিকে বেহাল স্বাস্থ্য পরিষেবার ছবি অন্যদিকে উচ্চমানের হাসপাতালে চিকিৎসা করাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিচে লেখা হয় ”পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের জন্য বরাদ্দ দুর্গন্ধময়, নোংরা, অমানবিক স্বাস্থ্য পরিষেবা! সরকারি হাসপাতালে নেই পর্যাপ্ত ডাক্তার, রোগীদের দেওয়া হচ্ছে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ আর রয়েছে যথার্থ পরিকাঠামোর অভাব। যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবার সামান্য চোখের অস্ত্রোপচারের জন্যও উড়ে যান আমেরিকায়, সেখানে বাংলার সাধারণ মানুষ চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে যাচ্ছেন প্রতিদিন। এটাই মমতা শাসিত বাংলার নির্মম বাস্তবতা -একদিকে বিলাসিতা, অন্যদিকে বঞ্চনা ও মৃত্যুর মিছিল।”
আরও পড়ুন-প্রয়াত প্রাক্তন বিধায়ক মইনুল হক, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
কিন্তু ২৪ ঘন্টার মধ্যেই দেখা গেল সেই ছবি আদৌ বাংলার নয়। ২০১৯ সালে গুজরাতের এক সরকারি হাসপাতালের বেহাল পরিণতির ছবি পোস্ট করে নেটদুনিয়ায় কটাক্ষের শিকার বিজেপি নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত ২০১৯ সালে মোদির রাজ্যে ভিএস জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত ১৭ জন পিজি আবাসিক ডাক্তার যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে চারজন মারাত্মক ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মায় সংক্রামিত হয়েছিল এবং তাদের চিকিৎসা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। আরও চারজন সেই বছর মার্চ মাসে সংক্রামিত হয়েছিলেন। জানা যায়, পুরোনো হাসপাতালে যক্ষ্মার জন্য আলাদা কোনও ওয়ার্ড না থাকায় ডাক্তারদের মধ্যে যক্ষ্মার সংখ্যা এভাবে বেড়ে গিয়েছে। আক্রান্ত বেশিরভাগ ডাক্তার ২০১৭ সালের স্নাতকোত্তর ব্যাচের এবং বাকিরা সার্জারি, অর্থোপেডিকস এবং অ্যানেস্থেসিয়া নিয়ে পড়াশোনা করছেন। এছাড়াও, অত্যন্ত নোংরা কর্মীদের আবাসস্থল এবং ভালো খাবারের অভাবও এর অন্যান্য কারণ বলে অভিযোগ করেছেন খোদ চিকিৎসকরা।

তৎকালীন এক আক্রান্ত ডাক্তারি পড়ুয়া জানিয়েছিলেন যক্ষ্মা রোগীদের জন্য আলাদা কোনও ওয়ার্ড ছিল না এবং তাদের সাধারণ ওয়ার্ডে চিকিৎসা করা হত। তাই ডাক্তাররাও এই রোগে আক্রান্ত হন। তাঁর চার সহকর্মী যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়েছিল যার চিকিৎসা ২০ মাস পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হয়েছে। প্রশ্ন করা হলেও এসভিপি হাসপাতালের ডিন ডঃ পঙ্কজ প্যাটেল এবং স্বাস্থ্য কমিশনার জয়ন্তী রবি কোন প্রতিক্রিয়া দেন নি।

