প্রতিবেদন : মুর্শিদাবাদের ঘটনায় রং চড়িয়ে বাংলার বদনাম করতে যখন আদাজল খেয়ে নেমে পড়েছে বিজেপি, ভিত্তিহীন গুজব, সাজানো ভিডিও ছড়িয়ে যখন উসকানির আগুন জ্বালানোর চক্রান্তে মেতেছে তারা, তখন ওয়াকফ বিরোধী বিক্ষোভে নিজেদের রাজ্যেই বেসামাল বিজেপি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ গেরুয়া পুলিশ প্রশাসন। ত্রিপুরার উনকোটি আর অসমের শিলচরে সেই একই ঘটনা। চূড়ান্ত ব্যর্থ বিজেপির পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ত্রিপুরায় নামাতে হয়েছে আধাসেনা। অথচ বিজেপি বড়াই করেছিল, তাদের রাজ্যে নাকি ওয়াকফ নিয়ে কোনও অশান্তি নেই।
স্বাভাবিকভাবেই বিজেপিকে এক হাত নিয়েছে তৃণমূল। প্রশ্ন তুলেছে, শুভেন্দু-সুকান্ত কি এবারে ত্রিপুরা প্রশাসনের ব্যর্থতা নিয়ে মুখ খুলবেন? কেন মুখে কুলুপ এঁটেছেন তাঁরা? ত্রিপুরা বিজেপি শাসিত রাজ্য বলেই কি? তৃণমূলের কটাক্ষ, ত্রিপুরায় তো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিএসএফ নামাতে হয়েছে। কিন্তু এখানে শুভেন্দু তো নিজেই কাঠগড়ায় তুলেছে বিএসএফকে। বলেছে বাংলাদেশ থেকে এসে বাংলাদেশ স্টাইলে লুঠপাট চালিয়েছে এখানে। দায়ী তাহলে বিএসএফই। বাংলার বিজেপি নেতারা কি এবার তা হলে আফস্পা দাবি করবেন বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায়?
আরও পড়ুন-প্যান্ট্রিকার নেই কেন সব দূরপাল্লার ট্রেনে? কেন্দ্রকে তোপ পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির
লক্ষণীয়, শনিবার সন্ধ্যায় ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ মিছিলকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে উত্তর ত্রিপুরার উনকোটি জেলার কৈলাশহর। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে উত্তেজিত জনতার। পুলিশ প্রথমে লাঠি, পরে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। উত্তেজিত জনতাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোঁড়ে। অভিযোগ, মিছিলকে লক্ষ্য করে জুতো ছুঁড়েছিল কে বা কারা। তারপরেই ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ লাঠি চালায় বিনাপ্ররোচনায়। ফলে বেশ কয়েকজন জখম হন। বিক্ষোভকারীদের হাতেও আক্রান্ত হয়ে জখম হন এক ডিএসপি এবং এক ইন্সপেক্টর। গেরুয়া পুলিশের ব্যর্থতায় শেষপর্যন্ত নামাতে হয় আধাসেনা।
প্রায় একই ঘটনার সাক্ষী বিজেপির অসমের শিলচর। এখানে মিছিলে বহিরাগতদের ঢুকিয়ে ব্যাপক অশান্তি বাধানো হয়। স্বীকার করেছে বিজেপির পুলিশও। অবস্থা সামাল দিতে হিমশিম খায় পুলিশ। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জও হয়। সবমিলিয়ে নিজেদের রাজ্যেই নাজেহাল বিজেপি।