যোগেশে সরস্বতী পুজো বিভ্রান্ত করছে বিজেপি

দক্ষিণ কলকাতার যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজে সরস্বতী পুজোর মতো একটি সাধারণ ঘটনা নিয়ে অহেতুক বিতর্ক তৈরি করছে বিজেপি।

Must read

প্রতিবেদন : দক্ষিণ কলকাতার যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজে সরস্বতী পুজোর মতো একটি সাধারণ ঘটনা নিয়ে অহেতুক বিতর্ক তৈরি করছে বিজেপি। শুধু বিতর্ক নয়, বিধানসভাতেও রীতিমতো বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন বিজেপি বিধায়করা। সোমবার এই ভাষাতেই বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল‌্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। রাজ‌্যপালের ভাষণের উপর বিতর্কে অংশ নিয়ে যোগেশচন্দ্র কলেজ নিয়ে অভিযোগ তোলেন বিজেপি বিধায়করা। এরপরই মুখ‌্যমন্ত্রীর কলেজের বিষয় নিয়ে বিরোধীদের বক্তব‌্য যে সঠিক নয় এবং বিধানসভাকে তাঁরা ভুল তথ‌্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছেন, তার জবাব দিতে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ‌্যায়ের কাছে বিশেষ অনুমতি চান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। মন্ত্রীকে বলার অনুমতি দেন স্পিকার। এরপরই বিজেপি বিধায়কের অভিযোগের জবাবে অরূপ বিশ্বাস বলেন, যোগেশচন্দ্র কলেজে দুটি বিভাগের দুটি বাড়ি হয়েছে। সেখানে সরস্বতী পুজোর আয়োজন নিয়ে সামান‌্য সমস‌্যা হয়েছিল। কিন্তু দুটি বাড়িতেই সাড়ম্বরে বাগদেবীর আরাধনা হয়েছে। বিজেপি বিধায়কের উদ্দেশে বলেন, আপনি বিধানসভাকে বিভ্রান্ত না করে সত্যিটা বলুন। মানুষকে সঠিক তথ‌্য দেওয়ার জন‌্য আমরা এখানে এসেছি। অরূপের বক্তব‌্য শেষ হতেই টেবিল চাপড়ে শাসকদলের তরফে তাঁকে অভিনন্দন জানানো হয়।

আরও পড়ুন-আমেরিকায় ভারতীয় আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে কারা কত?

এই কলেজের প্রাক্তনী হলেন মুখ‌্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ‌্যায়। এই কলেজে সরস্বতী পুজো নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্কের জেরে দিনকয়েক আগে নবান্নের তরফে গভর্নিং বডির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অরূপ বিশ্বাসকে। দোলের পর ওই কলেজে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচালন সমিতির দায়িত্ব নিয়ে বৈঠকও করবেন অরূপ। কিন্তু তার আগে এদিন বিধানসভায় মুখ‌্যমন্ত্রীর কলেজ নিয়ে বিজেপির মিথ‌্যা অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন কলেজের গভর্নিং বডির নবনিযুক্ত সভাপতি তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
অরূপের জবাবের পরও আরও এক বিজেপি বিধায়ক ফের একই বিষয় উত্থাপন করেন। এবার অধ্যক্ষের বিশেষ অনুমতি নিয়ে জবাব দিতে আসরে নামেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। যাবতীয় অভিযোগ খণ্ডন করে বিজেপি বিধায়কদের মন্ত্রগুপ্তির শপথের কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। চন্দ্রিমা বলেন, আমরা সকলে সংবিধানের নামে শপথ নিয়ে বিধানসভায় এসেছি। এখানে অনেক অসত‌্য কথা আপনারা বলছেন। শপথ নিয়ে এভাবে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মিথ‌্যা তথ‌্য দেওয়া যায় না। বিশেষ করে ধর্মের নামে বিভাজনের কথা শপথ নিয়ে বলা উচিত নয়।

Latest article