প্রতিবেদন : মৃত্যুর রাজনীতি করছে বিজেপি। সোমবার আম্বেদকরের জন্ম জয়ন্তীতে তোপ দাগল তৃণমূল। উন্নয়নের বার্তা দিয়ে মানুষের আস্থা পেতে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি। তাই মানুষ মারার রাজনীতিকে হাতিয়ার করছে তারা। এদিন এভাবেই বিজেপিকে নিশানা করলেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। বিজেপির রাজনৈতিক প্ররোচনা নিয়ে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিরোধী দল রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া। বিজেপি মনে মনে উল্লসিত যে হিন্দু মারা যাচ্ছে। অশান্তি ছড়িয়ে, সেখানে হিন্দু নিধন হবে। সেই কার্ড খেলে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা। ওরা এতদিন প্রধানমন্ত্রী র মুখে দেখিয়ে, বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের মুখ দেখিয়ে, উন্নয়নের কার্ডে জেতেনি। দ্রব্যমূল্য, সাধারণ মানুষের ওষুধের দাম এত বেড়ে গিয়েছে। মানুষের কাছে উত্তর দিতে পারছে না। তাই উন্নয়নের বার্তা দিতে ব্যর্থ হয়ে এই চক্রান্ত করছে।
বি আর আম্বেদকরের জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্ধা জানাতে বিধানসভায় এসে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় রাজ্যজুড়ে চলা অশান্তির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বলেন, ‘বিধানসভায় যদি কোনও প্রস্তাব আসে, তা হলে বিধানসভায় তা আলোচনা হতে পারে। আমরা যেমন সংবিধান দিবস পালন করে তার উপর আলোচনা করেছি। তাই বিধানসভায় সরকারপক্ষ কোনও প্রস্তাব আনতে চাইলে তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
আরও পড়ুন-ভুয়ো ছবি দেখিয়ে উসকানি, সুকান্তের নামে রাজ্যজুড়ে এফআইআর দায়ের টিএমসিপির
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, সনাতনী ধর্মের যে বিভেদ তা এখনো ভারতের সংস্কৃতিতে বর্তমান। এর লড়াইয়ে আম্বেদকার এখনও স্মরণীয় নাম। এই লড়াই এখনও ভারতবর্ষে জারি আছে। আম্বেদকারের নামে অনেক ভুল তথ্য, ভুল প্রচার করা হয় কিন্তু আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার প্রতিবাদ করেছেন। আম্বেদকর জয়ন্তীতে দেশের সংবিধানের বর্তমান বিপন্ন পরিস্থিতি তুলে ধরেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি স্পষ্ট দাবি করেন, দেশের গণতন্ত্র আজ বিপন্ন, সংবিধান বিপন্ন। সাম্প্রদায়িক রাজনীতির মধ্যে দিয়ে দেশকে ভাগ করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। যত ঘটনা সবের মূলে শাসকদল বিজেপি। বহিরাগত রাজ্যে এনে বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। সোমবার আম্বেদকর জয়ন্তীতে আম্বেদকর মূর্তিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানান মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, নির্মল মাঝি, তৃণমূল রাজ্য সহসভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার।