প্রতিবেদন : নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহর রাজ্যে এবার বিজেপিকে কড়া চ্যালেঞ্জের সামনে ফেলেছে আম আদমি পার্টি। গুজরাতে (Gujarat- AAP- BJP) দীর্ঘদিন ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। একের পর এক প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা রাজ্যে ক্ষমতা দখল করেছে। অথচ সেই প্রতিশ্রুতির কিছুই তারা পূরণ করেনি। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হওয়া প্রবল। সেই হাওয়াকে কাজে লাগাতে চাইছে আপ। শহর ও গ্রামাঞ্চলে নতুন ও কমবয়সি ভোটারা বিজেপির উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই নবীন ভোটাররা বিজেপির কাছ থেকে কোনও সুফলই পাননি। তাই তাঁরা আদৌ গেরুয়া দলের পক্ষে ভোট দেবেন কি না, তা নিয়ে ঘোরতর সন্দেহে আছেন মোদি, শাহর মতো বিজেপির শীর্ষ নেতারা।
আরও পড়ুন-ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা বিল ২০২২ সংবিধান বিরোধী, বলছেন বিশেষজ্ঞরা
সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, সুরাত, আমেদাবাদ, গান্ধীনগর, ভাবনগরের মতো বিজেপির শক্ত ঘাঁটিতে নবীন ভোটারদের মধ্যে আপের প্রভাব বাড়ছে। আপের জনপ্রিয়তা এভাবে বাড়তে থাকলে শহরাঞ্চলের ১৯টি আসনের ফলাফল বিজেপির (Gujarat- AAP- BJP) বিরুদ্ধে যেতে পারে বলে আশঙ্কা। এই খবর পেতেই জরুরি বৈঠকে বৈঠকে বসতে চলেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতারা। আপকে ঠেকানোর পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাও গুজরাত যাচ্ছেন বলে খবর। গুজরাত জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা, এমনটাই ধারণা ছিল মোদি-শাহদের। কিন্তু নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই ধরা পড়ছে যে মোদির রাজ্যে বিজেপি যথেষ্টই ব্যাকফুটে। মোদি-শাহদের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরছে। আপ নেতা তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের একাধিক প্রতিশ্রুতি গুজরাতের নবীন ও প্রবীণ দুই প্রজন্মেরই মনে ধরেছে। সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, গুজরাত নির্বাচনে বিজেপির ভোটের একটা বড় অংশ যেতে পারে আপের পক্ষে। শেষ পর্যন্ত এই আশঙ্কা সত্যি হলে গুজরাতে বিজেপির কপালে দুঃখ আছে। তবে শুধু আপ নয়, গুজরাতে এবার বিজেপিকে বিপাকে ফেলতে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন টিকিট না পাওয়া দলের নেতা ও বিধায়করা। প্রশাসনিক ক্ষমতা, ভুয়াে প্রতিশ্রুতি সব কিছু দিয়ে গুজরাতে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি। কিন্তু তারপরেও বিজেপি গুজরাতে শেষ হাসি হাসতে পারবে কি না তা বোঝা যাবে ৮ ডিসেম্বর।