বিদ্বেষ বিষে ভরা বিজেপি, ধিক্কার!

Must read

প্রতিবেদন : বিজেপি (Shame On BJP) ক্ষমতায় এলে কী হতে পারে, তা এখন হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছে ওড়িশা। টের পাচ্ছে দিল্লিও। অন্যের উৎসবে বাদ সাধাই বিজেপির সংস্কৃতি। তাই ‘হিন্দুরাষ্ট্রে’র দোহাই দিয়ে সান্তা ক্লজের টুপি বিক্রি বা টুপি পরাতেও তারা বাধা দিচ্ছে। হকারদের উপর চড়াও হচ্ছে। হেনস্থা করতে পিছপা হচ্ছে না মহিলাদেরও। আবার গরিব হকারকে মারধর করে হুমকিও দেওয়া হল— জগন্নাথের রাজ্যে খ্রিস্টানদের টুপি বিক্রি করা চলবে না। বিজেপির এই তালিবানি ফতোয়ার প্রতিবাদে তৃণমূলের গর্জন, বিজেপির শাসনে মানুষের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা আজ পুরোপুরি ভূলুণ্ঠিত। মানুষের রুচি ও পছন্দের ওপর এইভাবে তালিবানি ফতোয়া জারি করা, এটাই বিজেপির আসল রূপ।

তৃণমূলের সাফ কথা, বিজেপি (Shame On BJP) ও শরিকরা দেশকে মধ্যযুগীয় অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আজ টুপি আটকাচ্ছে, কাল হয়তো আপনাকে শ্বাস নিতেও বাধা দেবে। এদের এই ধর্ম বিরোধী মানসিকতা ও বিদ্বেষের রাজনীতির বিরুদ্ধে ধিক্কার জানাই। এরা ব্রিগেডের ময়দানে গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে চিকেন প্যাটিস বিক্রি করার ‘অপরাধে’ মারধর করেছিল আরামবাগের হকার শেখ রিয়াজুলকে। এবার বড়দিনের আগে সান্তাক্লজ়ের টুপি বিক্রি করার দায়ে দরিদ্র বিক্রেতাদের যেভাবে হেনস্থা ও ভয় দেখানো হল তাতে নিন্দার ভাষা নেই। শুধু ওড়িশাতেও নয়, দিল্লিতেও সান্তা-টুপি পরা মহিলাদেরও শাসানি দেওয়া হয়েছে। কেন খ্রিস্টানদের টুপি পরে উৎসবে শামিল হওয়া, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মহিলাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন- মানুষের হেনস্থা মানবে না তৃণমূল, শুধু ৮১ বিধানসভায় বেসলাইন সার্ভে কেন?

সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যে ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, ফুটপাথে দাঁড়িয়ে সান্তাক্লজ়ের টুপি বিক্রি করছেন কয়েকজন। তখন গাড়ি থেকে নেমে কিছু লোক ওড়িশাকে ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ বলে উল্লেখ করে ‘খ্রিস্টানদের জিনিসপত্র’ বিক্রি করা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এমনকী তাঁদের জিজ্ঞাসা করা হয়, তাঁরা কোথা থেকে এসেছেন? তাঁরা কি হিন্দু? বিক্রেতারা জানান, তাঁরা হিন্দু। হকারি করে কোনওরকমে পেট চালান তাঁরা। স্বঘোষিত হিন্দুত্ববাদীদের বলতে শোনা যায়, ‘এটা ভগবান জগন্নাথের দেশ। এখানে শুধু তাঁর শাসনই চলবে। হিন্দু হয়ে তোমরা এটা কীভাবে করছ? তাড়াতাড়ি সব গুটিয়ে এখান থেকে চলে যাও।’ এরপর আর একটি ভিডিও-তে দেখা যায়, দিল্লিতে সান্তাক্লজ়ের টুপি পরে কিছু মহিলা সম্মিলিত হয়েছিলেন আনন্দ-অনুষ্ঠানে। তাঁদেরকে হটিয়ে দেওয়া সেই ক্ষেত্র থেকে। বলা হয় কেন সান্তাক্লজ়ের টুপি পরে তাঁরা এখানে ভিড় জমিয়েছেন? এরপরই প্রশ্ন ওঠে, ভারতের মতো একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশে সান্তাক্লজ়ের টুপি বিক্রি করার জন্য দরিদ্র মানুষদের হেনস্থা কিংবা সান্তার টুপি পরার জন্য মহিলাদের শাসানি অসাংবিধানিক, অনৈতিক।

Latest article