প্রতিবেদন : বাংলায় হালে পানি পাচ্ছে না বিজেপি। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ‘আবকি বার ৪০০ পারে’র প্রচার মুখ থুবড়ে পড়েছে। এবার তাই ভোট-বৈতরণী পার হতে সাংবিধানিক সংস্থাগুলিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা শুরু করে দিয়েছে। ভোট লুট করতে এখন এসআইআরের নামে চক্রান্ত শুরু করেছে। বিজেপির এই ফন্দির বিরুদ্ধে আবারও গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি লেখেন, বিজেপি বাংলায় হেরে এখন অর্থ আর শক্তির অপব্যবহার করে জয়লাভের চেষ্টায় নেমেছে। বিজেপির এই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিতে হবে।
দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, এসআইআরের (SIR) নামে ভোটারদের নামকাটার ফন্দি আঁটতে গিয়ে বাংলায় বিজেপি ‘লক্ষ্মণরেখা’ অতিক্রম করে গিয়েছে। যদি স্বচ্ছ ভোটার ব্যবস্থাই তাদের লক্ষ্য হবে, তাহলে কেন নির্বাচনমুখী চারটি রাজ্যের মধ্যে কেবল বিরোধী-শাসিত রাজ্যগুলিতে এসআইআর হচ্ছে? বিজেপি-শাসিত অসমকে কেন অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে? যদি লক্ষ্যই হবে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া, তাহলে কেন কেবল বাংলাকে লক্ষ্য করা হবে? অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা এবং মিজোরামেও তো বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত শেয়ার রয়েছে। তাহলে শুধুমাত্র বাংলাকে আলাদা করা হচ্ছে কেন।
একইভাবে, অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মণিপুর এবং মিজোরামের মতো রাজ্যগুলি মায়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত শেয়ার রয়েছে, তাদেরও এসআইআর থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কেন?
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, এর কারণ এসআইআরের (SIR) নামে পিছনের দরজা দিয়ে এনআরসির ষড়যন্ত্র রচনা করা। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা সেই পরিকল্পনাই করেছে। নাগরিক হিসেবে আমাদের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার ক্ষমতা তাদের কে দিয়েছে? কে তাদের ক্ষমতা দিয়েছে আমাদের পিতা-মাতার জন্ম শংসাপত্র দাবি করার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফ কথা, আমাদের সভ্যতাকে দুর্বলতা ভেবে ভুল করবেন না। যদি বাংলার মানুষের কোনও ক্ষতি হয়, যদি একজনও প্রকৃত ভোটারকে অন্যায্যভাবে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়, তাহলে বাংলার মানুষ বিজেপিকে গদিচ্যুত করবে। ‘বিজেপি হটাও, অধিকার বাঁচাও’ স্লোগান দিয়ে দিল্লি স্তব্ধ করে দেবে। আমরা জমিদারদের এই স্পর্ধা মানব না। গণতান্ত্রিক উপায়ে আমাদের অধিকারের উপর এই আক্রমণকে ধূলিসাৎ করে দেব।
আরও পড়ুন-ঠাকুরনগরে অনশন

