প্রতিবেদন : ঘৃণ্য-মন্তব্য আর বিজেপি সমার্থক হয়ে উঠেছে। সকলকে পিছনে ফেলে ঘৃণ্য মন্তব্যে শীর্ষস্থান দখল করেছে মোদি-যোগীদের দল বিজেপি। কু-কথার সাম্রাজ্যে অধিপতি এখন তারাই। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানেই উঠে এসেছে সেই সত্য। কু-কথার সাম্রাজ্যে মোদিকে পিছনে ফেলে অনেক এগিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এমনকী দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাও তাঁকে টক্কর দিচ্ছেন সমানে!
আরও পড়ুন-যোগীরাজ্যের হস্টেলে ধর্ষণ করে খুন ছাত্রীকে অভিযোগও নেয়নি পুলিশ
পরিসংখ্যান বলছে, বিজেপির বদান্যতায় বিগত বছরে ঘৃণা-মন্তব্যের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে ৭৪.৪ শতাংশেরও বেশি। নতুন করে নথিভুক্ত হয়েছে ১,১৬৫টি ঘটনা। বিজেপি অথবা এনডিএ যেখানে ক্ষমতায় আছে, অথবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল যেখানে পুলিশ ও জননিরাপত্তা কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে, সেখানেই প্রায় আশি শতাংশ ঘৃণ্য মন্তব্যের ঘটনা ঘটেছে। মোট ৪৭ শতাংশ ঘটেছে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশে। ঘৃণা-মন্তব্যের সর্বোচ্চ ঘটনার তালিকায় থাকা দশটি রাজ্যের মধ্যে সাতটিতেই বিজেপি সরকার সরাসরি শাসন করেছে অথবা তাদের জোট সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। ২০২৪-এর ২১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজস্থানের বানসওয়াড়ায় এক বিতর্কিত ভাষণ দেন। সেখানে তিনি দেশের একাংশ নাগরিককে ‘অনুপ্রবেশকারী’ এবং ‘যাদের বেশি সন্তান’ রয়েছে বলে অভিহিত করেন। এই ভাষণের আগে প্রায় ৬১টি ঘৃণ্য মন্তব্যের ঘটনা ঘটেছিল। প্রতিদিন গড়ে দুটো করে ঘটনা। কিন্তু ২২ এপ্রিল থেকে ১ জুনের মধ্যে দেশজুড়ে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩১২। দিন প্রতি তা সাতটিরও বেশি হয়ে যায়। এই বৃদ্ধির হার আগের তুলনায় তিনগুণ।
৩৪০টি (২৯.২ শতাংশ) ঘৃণ্য মন্তব্য করেছে বিজেপি। ২০২৩ সালের তুলনায় যা ৫৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সালে বিজেপি এ-ধরনের মাত্র ৫০টি ঘটনা ঘটিয়েছিল। রাজনৈতিক নেতারা ৪৬২টি (৩৯.৭ শতাংশ) ঘৃণ্য মন্তব্য করেছেন। যার মধ্যে ৪৫২টি মন্তব্য এসেছে বিজেপি নেতার মুখ থেকে। ২০২৩ সালে রেকর্ড গড়া ১০০টি ঘৃণ্য মন্তব্যের তুলনায় তা ৩৫২ শতাংশ বেশি।
বিজেপি নেতারা প্রমাণ করেছেন, ঘৃণা কোনও দুর্ঘটনা নয়, এটি একটি অভ্যাস। ২০২৪ সালে ২২.২ শতাংশ ঘটনায় সরাসরি হিংসাকে উসকানি দেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালে ১,১৬৫টির মধ্যে ৯৯৫টি ঘৃণ্য মন্তব্যের ভিডিও লাইভ স্ট্রিম বা আপলোড করা হয়েছে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব ও এক্সে।