প্রতিবেদন : এই নির্বাচন গোসাবা বা খড়দহের নির্বাচন নয়। এই নির্বাচন ভারতবর্ষকে বাঁচানোর নির্বাচন। উপনির্বাচনের ময়দান থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ডাক, বিজেপিকে উৎখাত করতে ৪-০তে জিতলে দিল্লিতে বার্তা যাবে — তোমারে বধিবে যে গোকুলে বাড়িছে সে।
কোথায় বিজেপি নেতারা?
গোসাবা কিংবা খড়দহ, দুই কেন্দ্রেই আক্রমণাত্মক ছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ৮ দফায় বিধানসভা ভোটের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ওই করোনা আবহে যদি একদফায় নির্বাচন হত তাহলে হয়তো আমরা গোসাবার জয়ন্ত নস্কর কিংবা খড়দহের কাজল সিনহার মতো তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পদকে অকালে হারাতাম না। একটা দলকে সুবিধে করে দিতে ৮ দফায় ভোট হয়েছে। মানুষের কাছে ওদের তো জবাব দিতেই হবে। এরপর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভোট-প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়ে দিয়ে অভিষেকের জিজ্ঞাসা, ২ লক্ষ কোটি টাকা দিয়ে সুন্দরবনকে সাজিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আমফান, ইয়াসের পর কেন্দ্রীয় সাহায্য কার্যত আসেইনি। ১৫ লক্ষ টাকাও কেউ পাননি। কোথায় তাঁরা? আসলে বহিরাগতদের বাংলা ছাড়া করেছে রাজ্যের জনগণ। কথা দিচ্ছি, এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে। আমরা করব। আমরা কথা দিলে কথা রাখি।
আত্মিক সম্পর্ক
এই জেলা আমাকে জিতিয়ে সাংসদ করেছে। আমি কৃতজ্ঞ আপনাদের ভালবাসায়। আপনাদের সুখে-আনন্দে তৃণমূলকে নাও পেতে পারেন, কিন্তু বিপদে তৃণমূল কংগ্রেস ছিল-আছে-থাকবে।
আরও পড়ুন-গুন্ডারাজ: মিছিল-ডেপুটেশন, মামনের চিকিৎসা কলকাতায়
এটা বাংলা
বিজেপি মনে রাখুক, এটা বাংলা, পশ্চিমবঙ্গ, যা দেশকে পথ দেখায়। কিছু হলেই ইডি-সিবিআইয়ের ভয় দেখাচ্ছে। আমাকে ৫ বার সমন পাঠিয়েছে। জেনে রাখুন, ধমকে চমকে ৯০০ সমন পাঠালেও আমি জয় বাংলাই বলব।
সর্বনাশা বিজেপি
দেশটাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে বিজেপি! পেট্রোল আগেই সেঞ্চুরি পেরিয়েছে। শনিবার ডিজেলও সেঞ্চুরি ছুঁল। সবজি, ভোজ্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। ভোজ্য তেল প্রায় ২০০ টাকা। ক্যাপসিকাম ২০০ পেরিয়েছে৷ বিন, শিম, টম্যাটো সেঞ্চুরি পেরিয়েছে। পোস্তো ২,১০০ টাকা কেজি! মানুষ বাঁচবে কী করে। এই বিজেপিকে না তাড়ানো অবধি মানুষের নাভিশ্বাস কমবে না। নইলে মানুষকে পথে বসাবে।
রাজ্যে রাজ্যে তৃণমূল
পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আশীর্বাদ করেছেন। রাজ্যে বিজেপি বিতাড়নের কাজ সম্পূর্ণ। যেখানে যেখানে বিজেপির অত্যাচার লাগামছাড়া, সেখানে সেখানে পৌঁছবে তৃণমূল কংগ্রেস। ত্রিপুরায় কড়া নাড়া শুরু হয়েছে। আমাদের সাংসদ সুস্মিতা দেবের ওপর কী ধরনের বর্বরোচিত হামলা হয়েছে, তা সকলে দেখেছেন। বিপ্লব কত বড় ‘বিপ্লবী’ বুঝিয়ে দেব। বিদায় ঘণ্টা বেজে গিয়েছে। দেড় বছরের মধ্যে ত্রিপুরায় তৃণমূল সরকার তৈরি করবে। শুরু হয়েছে গোয়া অভিযান। চারমাসের মধ্যে সেখানেও হবে সরকার। এরপর মেঘালয়, উত্তরপ্রদেশ। উত্তরপ্রদেশ এখন তো আবার নিরুত্তর প্রদেশ। বাংলার উন্নয়নের প্রতীক ফ্লাইওভারের ছবি চুরি করার পরেও লজ্জাহীন। আগামী এক বছরে দশ থেকে বারোটি রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি তৈরি হবে।
উঠে যাবে বিজেপি
এখনকার তৃণমূল আর আগের তৃণমূলের পার্থক্য আছে৷ কর্মীদের আবেগকে মর্যাদা দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস দরজা বন্ধ করে রেখেছে। বিশ্বাসঘাতকদের ঢুকতে দেব না দলে। একবার দরজা হাট করে খুলে দিলে বিজেপি দলটাই উঠে যাবে। ৪-০ করার পর ত্রিপুরা, গোয়া, মেঘালয়, উত্তরপ্রদেশ অভিযান হবে। তিন মাসের মধ্যে পাঁচটি রাজ্যে বিজেপিকে হারাবে তৃণমূল কংগ্রেস, এই শক্তি দল সঞ্চয় করেছে।
ভোট নষ্ট নয়
কংগ্রেস বা সিপিএমকে ভোট দেওয়া মানে ভোট নষ্ট করা। কংগ্রেস আর তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে পার্থক্য হল এটাই, কংগ্রেস বিজেপির কাছে হারছে আর বিজেপিকে হারাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।
দেশের নেত্রী
কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারিকা একটাই আওয়াজ — দেশ কি নেত্রী ক্যায়সি হো / মমতাদিদি জ্যায়সি হো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই বিজেপিকে দেশছাড়া করবেন। ৩০ অক্টোবরের ভোটে গোসাবার সুব্রত মণ্ডল এবং খড়দহ থেকে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে এমন ব্যবধানে জেতান যাতে বিজেপির বিদায় ঘণ্টা শোনা যায়।