এবার আসানসোলে কম্বলকাণ্ডে গ্রেফতার বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari)। শনিবার, দিল্লির যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ। স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারিকে নিয়ে নয়ডা থেকে আগ্রা যাচ্ছিলেন বিজেপি নেতা। আসানসোলের কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানের পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় এক শিশু সহ ৩জনের। তারই জেরে তাঁকে গ্রেফতার করেছে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ।
আসানসোলে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে ১৪ ডিসেম্বর কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত ভিড় ও অব্যবস্থায় পদপিষ্ট হয়ে এক শিশু-সহ তিনজনের মৃত্যু হয়। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ছিলেন, জিতেন্দ্রর স্ত্রী স্থানীয় বিজেপি কাউন্সিলর ও পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি তিওয়ারি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীও। স্থানীয়দের অভিযোগ, কম্বল বিলি অনুষ্ঠানে আসানসোল পুরসভার কমপক্ষে ৫টি ওয়ার্ড থেকে লোক আনা হয়। কম্বল নিতে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাপনায় চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় অনিচ্ছাকৃত খুন ও খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। এফআইআর-এ জিতেন্দ্র, চৈতালি-সহ একাধিক নাম ছিল। ইতিমধ্যেই কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে বরাদ্দ করেনি কেন্দ্র
জিতেন্দ্র তিওয়ারির (Jitendra Tiwari) বাড়িতেও বেশ কয়েক বার যায় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় চৈতালিকে। এই নিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তোলে বিজেপি। টানাপোড়েনের মধ্যে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে রক্ষাকবচ পান চৈতালি তিওয়ারি। তবে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত বন্ধ করা যাবে না বলে নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। আগাম জামিনের আবেদন জানান জিতেন্দ্রও। কিন্তু হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যায়। সুপ্রিম কোর্টেও যান বিজেপি নেতা। সেখানে শুনানির আগেই তাঁকে গ্রেফতার করা হল। দিল্লির যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে জিতেন্দ্রকে গ্রেফতার করে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ। ১০ দিন ধরে দিল্লি গিয়ে বসে ছিল পুলিশ। এদিন ধরা পড়েন তিনি।
উদ্যোক্তাদের গাফিলতির কারণেই এই প্রাণহানি বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, শুধু জিতেন্দ্র নয়, ওই সময় উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দুও। জিতেন্দ্রর পাশাপাশি এই মৃত্যুর দায়ভার তাঁরও। শুভেন্দুকেও গ্রেফতার করা উচিত বলে মন্তব্য করেন কুণাল।