পুজোর আগে ভবানীপুর উপনির্বাচনের ফলাফল নিয়ে তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী মিলে গিয়েছিল। নিজের দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ভবানীপুরে ৫০ হাজারের বেশি ভোটে জিতবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর অন্যথা হয়নি। আগামী ৩০ অক্টোবর রাজ্যের চার আসনে (দিনহাটা, শান্তিপুর, খড়দহ, গোসাবা) উপনির্বাচন। এবারও বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, ৪-০ ফলাফলে জিতবে তৃণমূল।
অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে বঙ্গের বিজেপি নেতারা নিজেদের শুধরাতে না পারলে আগামিদিন এ রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের জন্য আরও বড়সড় বিপর্যয় অপেক্ষা করছে বলেই তিনি মনে করেন। নীচুতলার কর্মীদের মনে ক্ষোভ আর আবেগকে গুরুত্ব না দিলে তার খেসারত দিতে হবে।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা, পেগাসাসকাণ্ডের তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটির দিকে এগোল সুপ্রিম কোর্ট
রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সামনে কর্মীদের মধ্যে যে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে সেটা লজ্জাজনক। কাটোয়ার দাঁইহাটে বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে হাতাহাতির ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে এনে জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নীচুতলার কর্মীদের মনে ক্ষোভ রয়েছে। সেই ক্ষোভকে মান্যতা দিয়ে না এগোলে আবারও এই একই ঘটনা ঘটবে।
এরপরই তিনি উপনির্বাচন নিয়ে বলে বসলেন, “আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলছি আবারও হারবে বিজেপি। তৃণমূলের পক্ষে ৪-০ হবে। নির্বাচনের নির্দিষ্ট দিনের আগেই জানিয়ে দেব কোথায়, কত ভোটে হারবে।”
জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের এদিন আরও বলেন, “বিজেপিতে কিছু রাজ্য নেতা লোভী হয়ে গিয়েছেন। আর কিছু নেতা আছেন যারা বিভিন্ন জেলাতে নিজেদের চর ঢুকিয়ে রেখেছেন, যারা দলের অভ্যন্তরের সব খবর তাদের দেন। এই সব নেতারাই রাজ্য সরকারের হয়ে কাজ করে দলটাকে ডুবিয়ে দিচ্ছেন।’’