এবার প্রকাশ্যে বিজেপির নোংরামি। দলীয় কর্মীকে সংগঠনের কাজে সিকিম নিয়ে যাওয়ার নামে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠল বিজেপির লিগ্যাল সেলের ইনচার্জ লোকনাথ চট্টোপাধ্যায়ের (BJP Leader Loknath Chatterjee) বিরুদ্ধে। অভিযোগ, মনীশ বিসসা নামে বিজেপি যুব মোর্চার আইটি ইনচার্জকে সিকিম নিয়ে গিয়ে শারীরিক নির্যাতন করেন লোকনাথ চট্টোপাধ্যায়। এমনকি হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন বিসসা। পাশাপাশি পোস্তা থানাতেও লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।
জেপি নাড্ডার কাছে লিখিত অভিযোগে লোকনাথ চট্টোপাধ্যায়ের (BJP Leader Loknath Chatterjee) শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ২৯ বছর বয়সী বিসসা। গোটা ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “গত ২৫অক্টোবর রাজ্যের লিগ্যাল সেলের ইনচার্জ লোকনাথ চট্টোপাধ্যায় আমাকে একটি কাজে ওনার সাথে সিকিম যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন এবং আমি ওনার সঙ্গে যাই। কিন্তু সিকিম পৌঁছে আমার মনে হল এখানে আমাকে সাংগঠনিক কাজে নয় বরং ওনার ব্যক্তিগত সেবক হিসেবে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওখানে পৌঁছানোর পর লোকনাথ চ্যাটার্জি আমাকে ওনার এমন কিছু ব্যক্তিগত কাজ করতে বলেন যা কেউ তার বাঁধা শ্রমিককেও বলতে পারেন না। ওনার মাথা টেপা, শরীর মাসাজ করার মত কাজ করানোর চেষ্টা করেন। এই ধরনের আচরণ কোন সংগঠনের কর্মীর সঙ্গে অশোভনীয় তো বটেই একইসঙ্গে অন্যায় ও অমানবিক। শুধু তাই নয় ওনার প্রস্তাব খারিজ করায় উনি আমার মোবাইল ও সমস্ত জরুরী কাগজপত্র কেড়ে নেন এবং শারীরিক মানসিক নির্যাতন করেন। ওনার সঙ্গে থাকা সিআইএসএফ জওয়ানের বন্দুক আমার মুখে ঢুকিয়ে মারার জন্য নির্দেশ দেন। গোটা ঘটনার কথা কাউকে জানালে আমাকে এবং আমার পরিবারকে খুন করার হুমকি দেওয়া হয়।”
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে হলদিয়ার ৫৪টি কারখানায় আইএনটিটিইউসি ইউনিট হবে
মনীশের আরও অভিযোগ, “সিকিমে জামা-কাপড় খুলিয়ে অত্যাচার করা হয়েছে আমার ওপর। আমাকে নিজের গার্লফ্রেন্ড ভেবে নিয়েছিল উনি। শারীরিকভাবে নির্যাতনে বাধা দিলে প্রাণে মারার হুমকি দেয়। মুখের মধ্যে বন্দুক ঢুকিয়ে দেয় লোকনাথের নিরাপত্তারক্ষীরা। ঈশ্বরের কৃপায় বেঁচে ফিরেছি। ওনার পরিবারের সামনেই সবকিছু হয়েছে। তাঁরাও ভয়ে কিছু বলতে পারেনি। ওদেরকেও তাহলে মেরে ফেলতো। উনি মানসিক বিকারগ্রস্ত ভয়ানক একটি মানুষ। পারে না এমন কাজ নেই।” পাশাপাশি ৩১ অক্টোবর সিকিম থেকে শিয়ালদা স্টেশনে ফেরার পর কাগজপত্র ফেরত চাইলে ফের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। এরপর আরপিএফের সহায়তায় নিজের প্রয়োজনীয় কাগজ ফেরত নেন এবং চিকিৎসার জন্য মেডিকেল কলেজে যেতে হয় তাঁকে। গোটা ঘটনায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি পোস্তা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই যুব মোর্চা নেতা।