প্রতিবেদন : করুণ, দুর্বিষহ অবস্থা রাজ্য বিজেপির। কলকাতা পুরভোটে লড়াই কোথায়? হারটা কীভাবে সম্মানজনক করা যায়, সেই রাস্তা খুঁজতে ব্যস্ত খোদ দলের নেতারাই। বাইরে যতই হম্বিতম্বি করুন না কেন, ভিতরে ভিতরে হারের ভয় তাড়া করে বেড়াচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীদের। শুধু তাই নয়, ঘরের বাইরে তিনি ও তাঁর দল যে আসলে ফানুস তৈরি করার চেষ্টা করছেন, সেটাও পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে তাঁদের বক্তব্যে৷ বিরোধী দলনেতার বেফাঁস মন্তব্য হাটেবাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর তা ঢাকা দিতে মরিয়া চেষ্টা চলছে সমানতালে৷
আরও পড়ুন : বিজেপিকে রুখে দিতে শক্তি বাড়াবে তৃণমূল
দলের কর্মীদের উদ্দেশে রবিবারের বৈঠকে শুভেন্দু নাকি বলেছিলেন, ২০২১–এর বিধানসভা নির্বাচনের যা ফল সেই অনুযায়ী লড়াই মাত্র ১০ আসনে৷ তাহলে কীসের লড়াই লড়বেন? ১০ আসন টার্গেট নিয়েই এগিয়ে চলুন৷ এর জন্য এত ভাবনার কী আছে? এই ধরনের খবর একটি চ্যানেলে প্রকাশ্যে আসতেই প্রবল অস্বস্তিতে পড়ে যান বিরোধী দলনেতা৷ যেহেতু খবরটির কোনও হাতে গরম তথ্য নেই, সেহেতু সরাসরি আইনি নোটিশ পাঠিয়ে দিচ্ছেন বিরোধী দলনেতা৷ শুধু তাই নয়, সেকথা আবার ট্যুইট করছেন৷ শুভেন্দুর অবশ্য এটাই অভ্যাস৷ বলেন, কাজ করেন, অস্বীকার করেন৷ টাকা নিচ্ছেন ভিডিও ক্যামেরায় দেখা যাচ্ছে, তারপরেও কত চোটপাট৷ পকেটে আইনজীবীদের নোটিশ থাকে৷ শুধু নাম আর ঠিকানা বদলায়৷ বিরোধী দলনেতার কাজ নেই, বেশ বোঝা যায়৷ পুরপ্রচারে তিনি প্রায় ডুমুরের ফুল। তোমার দেখা নাইরে। সকাল-সন্ধে বয়ানবাজিতে আছেন, মাঠে নেই। শুধু তাই নয়, পুরভোটে বিজেপি প্রার্থীদের ভোট প্রচারে খরচ হিসাবে দেওয়া হচ্ছে ৩০-৪০ হাজার টাকা। সে নিয়েও দলে ব্যাপক বিক্ষোভ। সকলে চাইছেন অন্তত লাখ দুয়েক। দল দিতে নারাজ। ফলে প্রার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। বিরোধী দলনেতা কথার ফুলঝুরি ফোটালেও প্রার্থীদের সমস্যা মেটাতে ব্যর্থ ও উদাসীন, বলছেন নিজেদের দলের প্রার্থীরাই। ক্ষোভ চরমে।