প্রতিবেদন : খুনের অভিযোগে গ্রেফতার বিজেপি বিধায়কের গুণধর ছেলে! তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষকে গুলি করে খুনের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার কোচবিহার উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়কের ছেলে দীপঙ্কর রায়। যে স্করপিওতে চেপে এসে কর্মাধ্যক্ষের ওপর গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল সেই কালো রঙের গাড়িটিকেও আটক করেছে পুণ্ডিবাড়ি থানার পুলিশ। কোচবিহার ২ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মাধ্যক্ষ রাজু দে-র ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকে শুক্রবার সকালে দফায় দফায় বিক্ষোভে নামে তৃণমূল কংগ্রেস। কোচবিহারের ঝিনাইডাঙা এলাকায় বিক্ষোভ-মিছিলে শামিল হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। এই গুলি চালানোর পেছনে বিজেপির মদত রয়েছে বলে অভিযোগ তুলে রাস্তায় টায়ারে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। জানা গেছে, আক্রান্ত রাজু দে কোচবিহারের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর ডান কাঁধে গুলি লেগেছে বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার রাত থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে দফায় দফায় বেসরকারি হাসপাতালে যান তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। শুক্রবার আহতের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ, তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কমিটির চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মনেরা৷ গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকে বিক্ষোভ, মিছিল, প্রতিবাদ-আন্দোলন শুরু হয় চকচকা, পুন্ডিবাড়ি, খোল্টা মরিচবাড়ি অঞ্চল জুড়ে৷ তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, বিজেপি বিধায়কের কালো রঙের গাড়িতে চেপে এসে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মাধ্যক্ষ রাজু দে-কে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছিল৷ কাঁধে গুলি লাগায় অল্পের জন্য রক্ষা পান।