প্রতিবেদন : বিজেপি (BJP) নেত্রী নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) পয়গম্বরকে নিয়ে করা কুমন্তব্যের জেরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে তুমুল বিক্ষোভ। তারমধ্যেই যোগীরাজ্যে এক বিজেপি (BJP) নেতার বুলডোজার হুমকি পরিস্থিতিকে ঘোরালো করতে প্ররোচনার কাজ করেছে৷ গত দু’দিন ধরে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, তেলেঙ্গানা, ঝাড়খণ্ড, কাশ্মীরের মতো একাধিক রাজ্যে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখিয়েছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে শুক্রবার প্রতিবাদ-বিক্ষোভ সবচেয়ে বেশি হিংস্র হয়ে ওঠে। শনিবারও তার রেশ ছিল৷ বিক্ষোভকারীদের ছোঁড়া পাথর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল রাঁচি। আহত একাধিক পুলিশকর্মী। বাধ্য হয়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। শূন্যে গুলি চালায়। এই হিংসার ঘটনায় রাঁচিতে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম প্রায় ১২। জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। এছাড়া উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ, লখনউ, কানপুর, মোরাদাবাদ, সাহারানপুরের মতো এলাকা থেকেও বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর মিলেছে। অশান্তির খবর এসেছে হায়দরাবাদ থেকেও। এরইমধ্যে যোগী আদিত্যনাথের মিডিয়া উপদেষ্টা মৃত্যুঞ্জয় কুমারের একটি ট্যুইট নতুন করে অশান্তির আগুনে ঘি ঢেলেছে। কুমার ট্যুইট করেন, পাথর ছোঁড়ার পাল্টা হতে পারে বুলডোজার। শুক্রবার ছিল পাথর ছোঁড়ার দিন। শনিবার বুলডোজার চালানোর দিন হিসেবে ঘোষণা করা হোক। শুক্রবার অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে উত্তরপ্রদেশে প্রায় ২৩০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ পুলিশকে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বিজেপি নেতা-নেত্রীদের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কখনও পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ হয়েছে। কখনওবা বিজেপির অফিস লক্ষ্য করেও হামলা হয়েছে। দাবি, অবিলম্বে নূপুরকে গ্রেফতার করতে হবে।
আরও পড়ুন: কুয়োয় বালক