প্রতিবেদন: ভুয়ো এক্সিট পোলের আসল উদ্দেশ্য যে শেয়ার বাজারে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে বৃহৎ বিনিয়োগকারীদের মোটা অঙ্কের মুনাফা লোটার সুযোগ করে দেওয়া, তা এবারে তথ্যপ্রমাণ সহ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির শেয়ার-বাজার কেলঙ্কারির জরুরিভিত্তিক তদন্তের দাবি জানিয়ে দুর্নীতি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ পেশ করে সেবিকে আবার চিঠি দেবে তৃণমূল। সোমবার স্পষ্টভাবে একথা জানিয়ে দিয়েছেন দলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখেল। তৃণমূলের অভিযোগ, এটি ৩০ লক্ষ কোটি টাকারও বড় অঙ্কের দুর্নীতি। এর মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করে তাঁদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা লুঠ করেছে বিজেপি। কারণ তারা খুব ভালভাবেই জানতো যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আদৌ জুটবে না তাদের।
আরও পড়ুন-সেচদফতরের উদ্যোগে তৈরি হল মেটেলির নেওরা নদীবাঁধ
একটি বড়মাপের এক্সিটপোল সংস্থার গত ৩ বছরের আর্থিক হিসাব-নিকাশ সংক্রান্ত নথির অনুলিপিও তুলে ধরা হয়েছে তৃণমূলের যুক্তির সমর্থনে। তৃণমূলের অভিযোগ, এই এক্সিট পোল সংস্থাটি নিয়মিতভাবে বিনিয়োগ করে চলেছে শেয়ার মার্কেটে এবং প্রতিবছরে ৩-৪ কোটি টাকা ক্যাশ-ফ্লো নিশ্চিত করছে। রাজ্যসভার সাংসদের বক্তব্য, যখন কোনও সংস্থার এক্সিটপোলের প্রচার প্রভাব ফেলে শেয়ারবাজারে, তখন আইনত বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়াই হয় না তাদের। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, ওই বৃহৎ সংস্থা ভুয়ো এক্সিটপোল চালানো সত্ত্বেও ৩ ও ৪ জুন তাদের শেয়ার বাজারে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করেছে কি? যদি করে থাকে তবে তা নিঃসন্দেহে ইনসাইডার ট্রেডিং। যা আইনের চোখে গুরুতর দণ্ডনীয় অপরাধ। অবিলম্বে এর যথাযথ তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত সেবির।