প্রতিবেদন : মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই যে বিজেপির পায়ের নীচের মাটি সরে যাচ্ছে তা প্রমাণিত হল আরও একবার। মিলল গেরুয়া শিবিরের নির্বাচনী বিপর্যয়ের স্পষ্ট ইঙ্গিত। মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা খেল বিজেপি। মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেটের স্নাতক নির্বাচনী কেন্দ্রের ভোটে উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বধীন শিবসেনার যুবশাখা যুবসেনা একেবারে ধরাশায়ী করে দিল বিজেপির ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদকে। উদ্ধব ঠাকরের যুবসেনার সামনে মাথা তুলে দাঁড়াতেই পারল না এবিভিপি। সবকটি আসনেই জয়লাভ করেছে উদ্ধবের যুবসেনা। শুক্রবার রাতে ভোট গণনা শেষে দেখা যায় যুব সেনার প্রার্থীরা দশটি আসনেই জয়লাভ করেছে। যুব সেনার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। রাজনৈতিক এবং আইনি বিরোধের কারণে, দীর্ঘ বিলম্বের পরে, মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেটের স্নাতক নির্বাচনী কেন্দ্রের ১০ টি আসনে মঙ্গলবার ভোট গ্রহণ করা হয়। এই নির্বাচনে ভোটার হিসাবে নথিভুক্ত মোট ১৩,৪০৬ স্নাতকের মধ্যে ৫৫ শতাংশ। ৩৮ টি ভোটকেন্দ্রের ৬৪ টি বুথে মুম্বাই শহর, শহরতলি, থানে, নভি মুম্বাই, পালঘর, রায়গড়, রত্নাগিরি এবং সিন্ধুদুর্গ জুড়ে ভোট দিয়েছেন স্নাতকরা।
আরও পড়ুন-ফের রোনাল্ডোর গোল, জয়ী দলও
মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৫০ টিরও বেশি অনুমোদিত কলেজ রয়েছে। মোট ১০ টি আসনের জন্য যুব সেনা (উদ্ধব ঠাকরে), এবিভিপি সহ বিভিন্ন যুব সংগঠনের মোট ২৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।যুব সেনা নেতা প্রদীপ সাওয়ান্ত বলেছেন, শাসক দলের তীব্র রাজনৈতিক চাপ সত্ত্বেও, এই ফলাফল প্রমাণ করল, তরুণরা সেনেটে তাঁদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য ভরসা রাখেন উদ্ধব ঠাকরের যুবসেনার উপরেই। বিশ্বাস করেন শুধুমাত্র এই সংগঠনকেই৷ আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য উন্মুখ, এখন সিনেটে একটি পূর্ণাঙ্গ ফোরাম থাকবে।
লক্ষণীয়, স্নাতক নির্বাচনী এলাকার জন্য এমইউ সেনেট নির্বাচন দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে স্থগিত ছিল। অবিভক্ত শিবসেনার সময় থেকে যুবসেনা অতীতের নির্বাচনে মুম্বাই ইউনিভার্সিটির সেনেটে সবচেয়ে শক্তিশালী সংগঠন ছিল। আগের মেয়াদে, যুবসেনা ১০ টি পদের সবকটিতেই জিতেছিল।
আরও পড়ুন-মানসিক ভারসাম্যহীন অন্তঃসত্ত্বার চিকিৎসার ব্যয়ভার নিলেন অভিষেক
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নির্বাচনে বিজেপির ছাত্রসংগঠনের এমন বিপর্যয়ে মাথায় হাত গেরুয়া শিবিরের। এমনিতেই এখন তাদের গলার কাঁটা অজিত পাওয়ার। ভরসা বলতে শিন্ডের শিবসেনা। কিন্তু ঠিক এই সময়েই উদ্ধবের শিবসেনার এভাবে ঘুরে দাঁড়ানো শুধু তাৎপর্যপূর্ণ নয়, গভীর ইঙ্গিতবহও বটে। কারণ দরজায় কড়া নাড়ছে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, তরুণ সমাজ কি তাহলে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে বিজেপির দিক থেকে?