প্রতিবেদন : সেই কর্নাটক। এবার বিজেপি বিধায়ক অরবিন্দ লিম্বাভালি-সহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে মাথায় গুলি করে আত্মঘাতী হলেন এক ব্যক্তি। আত্মঘাতী ব্যক্তির নাম এস প্রদীপ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। প্রদীপের আত্মহত্যার ঘটনায় বিজেপি বিধায়ক অরবিন্দর নাম সামনে আসতেই বিভিন্ন মহল থেকে তাঁর তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-বিকেল ৩টে থেকে রাত ৯টায় দুর্ঘটনা দেশে সবচেয়ে বেশি, কেন্দ্রের রিপোর্টে প্রকাশ
বিজেপি বিধায়ককে গ্রেফতারের দাবি উঠেছে। পুলিশ জানিয়েছে, বেঙ্গালুরু শহর থেকে কিছুটা দূরে নেটিগেরে গ্রাম থেকে প্রদীপের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। পাশাপাশি আত্মঘাতীর গাড়ি থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায়। তাতে বিজেপি বিধায়ক সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ জানিয়েছেন আত্মঘাতী ব্যক্তি। এর আগে বিজেপি শাসিত কর্নাটকে এক সরকারি ঠিকাদারের আত্মহত্যার ঘটনায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল রাজ্যের এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে৷ চাপে পড়ে তাঁকে পদত্যাগও করতে হয়৷ ফের এক বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ তুলে আত্মহননের ঘটনা ঘটল৷ এখানেও দুর্নীতির গন্ধ মিলেছে৷
আরও পড়ুন-মূল্যবৃদ্ধির নিরিখে বরাদ্দ কম
পুলিশ জানিয়েছে, গোপী ও সোমিয়াহা নামে দুই ব্যক্তির পরামর্শে ২০১৮ সালে একটি রেস্তোরাঁয় ১.২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন প্রদীপ। তাঁকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, রেস্তোরাঁয় চাকরি ছাড়াও, প্রতি মাসে ৩ লক্ষ টাকা করে ফেরত দেওয়া হবে। রেস্তোরাঁয় বিনিয়োগের জন্য গোটা টাকাটাই ঋণ নিয়েছিলেন প্রদীপ। কিন্তু গোপী ও সোমিয়াহা টাকা ফেরত না দেওয়ায় ঋণ শোধ করতে পারছিলেন না তিনি। বাধ্য হয়ে নিজের বাড়ি, জমি বিক্রি করে দেন তিনি। বারবার টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য তাঁদের অনুরোধে কাজ না হওয়ায় তিনি দ্বারস্থ হন বিজেপি বিধায়ক অরবিন্দ লিম্বাভালির। কিন্তু ওই দুই ব্যক্তি বিধায়কের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় অরবিন্দ কোনও সাহায্য করেননি প্রদীপকে। আরও তিনজনের বিরুদ্ধেও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ জানিয়ে গিয়েছেন প্রদীপ। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করেছে ।