প্রতিবেদন : কোথায় গেল জাতীয় মহিলা কমিশন, কোথায় গেল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন? বিজেপি নেতা বলে কি সাত খুন মাফ? তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তৃণমূল। নিজের দলেরই মহিলা কর্মীকে গণধর্ষণ এবং তাঁর মুখে প্রস্রাব করে দেওয়ার মতো ন্যক্কারজনক ঘটনায় অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক মুনিরত্ন। তার বিরুদ্ধে বিষাক্ত ইঞ্জেকশন দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। একই দোষে অভিযুক্ত তার সঙ্গীরাও। আরএমসি ইয়ার্ড থানায় দলের বিজেপি বিধায়ক মুনিরত্নের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দায়ের করেছেন দলেরই এক মহিলা কর্মী। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, কর্নাটকের বিজেপি বিধায়ক মুনিরত্ন ও তার সহযোগীরা এক নারীকে গণধর্ষণের পর তাঁর ওপর প্রস্রাব করে এবং তাঁকে ভাইরাস ইঞ্জেকশন দেওয়ার মতো যে নারকীয় ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এককথায় পৈশাচিক। প্রজ্বল রেভান্না থেকে মুনিরত্ন— এই নরকের কীটেরা বিজেপিতেই আশ্রয় পায়। মোদিজির মুখেই শুধু নারী সুরক্ষার ভাষণ। এটাই বিজেপির নারী সম্মানের দৃষ্টান্ত। জাতীয় মহিলা কমিশন কোথায় প্রশ্ন তোলে! কিন্তু নিজেদের বেলায় তাদের মুখে কুলুপ এঁটে যায়। নির্যাতিতার অভিযোগ, গত বছর ১১ জুন মুনিরত্নর সঙ্গীরা কাজের কথা বলে একটি গাড়িতে করে তাঁকে বিধায়কের মাথিকেরের অফিসে নিয়ে যায়। পৌঁছনোর পরই বিজেপি বিধায়ক এবং তার দুই সঙ্গী মিলে তাঁকে নগ্ন করে ধর্ষণ করে। বাধা দিলে তাঁর ছেলের প্রাণহানির হুমকিও দেওয়া হয়। লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, বিধায়কের দুই সঙ্গী তাঁকে গণধর্ষণ করার পর মুনিরত্ন তাঁর মুখে প্রস্রাব করে দেয়৷ এখানেই শেষ নয়, আরও এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি ঘরে ঢুকে বিধায়কের হাতে একটি সাদা বাক্স দেয়। বাক্স থেকে একটি সিরিঞ্জ বের করে তাঁর শরীরে ইঞ্জেকশন দিয়ে দেয় বিজেপি বিধায়ক৷ ইতিমধ্যেই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে যশবন্তপুরের আরএমসি ইয়ার্ড থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ডি (গণধর্ষণ), ২৭০ (প্রাণঘাতী রোগের সংক্রমণ ছড়াতে পারে এমন মারাত্মক কাজ), ৩২৩ (স্বেচ্ছায় আঘাত করা), ৩৫৪ (একজন মহিলার শালীনতা নষ্ট করার উদ্দেশ্যে আক্রমণ বা অপরাধমূলক বল প্রয়োগ), ৫০৪ (শান্তিভঙ্গের উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃত অপমান), ৫০৬ (অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন) এবং ৫০৯ (একজন মহিলার শালীনতা নষ্ট করার উদ্দেশ্যে অঙ্গভঙ্গি বা কাজ) ধারার অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ত্রাণ পৌঁছবে তো? গাজা নিয়ে সংশয়