প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে দোষ দিয়েই চলেছে পদ্মশিবির। কিন্তু তাদেরই সর্ষের মধ্যে ভূত! শনিবার, মাথাভাঙার সভা থেকে ঘোকসাডাঙার বিজেপির (BJP) পঞ্চায়েত প্রধান দীপ্তি বর্মণের (Dipti Barman) দুর্নীতি প্রকাশ্যে আনলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
ঘোকসাডাঙার পঞ্চায়েত প্রধান দীপ্তি বর্মণ স্বামীর নামে জব কার্ড, শ্বশুরের নামে আবাস যোজনায় বাড়ির আবেদন করেন। তথ্য-সহ সেই দুর্নীতি প্রকাশ করে অভিষেক। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জানান, ”২০১৮ সালে ১২৭ টি পঞ্চায়েত তৃণমূল জিতেছিল। ১ টি জিতেছিল বিজেপি। সেই পঞ্চায়েত ঘোকসাডাঙা। সেই পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রধান দীপ্তি দেবী স্বামীর নামে জব কার্ড তৈরি করেছে। স্বামীর নাম রতন বর্মণ। স্বামীর কাকা অর্থাৎ দীপ্তি দেবীর শ্বশুর বিজনকুমার বর্মণ বাংলা আবাস যোজনার জন্য আবেদন করেছেন। আমি মিথ্যা কথা বলছি না। অর্থাৎ একই পরিবারের তিনজনের নামে ঘর। উনি একটা পঞ্চায়েতে জিতেই তিনটে জমি কিনেছে। একটা পঞ্চায়েত জিতেই এই অবস্থা। অথচ কেশপুরে স্বামী-স্ত্রী তৃণমূল করে বলে বাড়ি পর্যন্ত নেয়নি।” নামের পাশাপাশি, তাঁদের প্রোফাইল নম্বরও জানিয়ে দেন অভিষেক।
আরও পড়ুন-মানুষের পাশে হুগলির পোলবা থানা, এলাকায় এবার দুয়ারে পুলিশ
উত্তরবঙ্গে বিজেপির পরিস্থিতি নিয়েও এদিন কটাক্ষ করেন অভিষেক। বলেন, কোচবিহারের মানুষ এখান থেকে সাংসদ পাঠিয়েছেন। তিনি কেন্দ্রের মন্ত্রী। কিন্তু সংসদে দাঁড়িয়ে কোচবিহারের সমস্যর কথা তিনি বলেন না। এরপরে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে অভিষেক বলেন, ভোটের পর আর স্থানীয় মানুষের পাশে থাকে না বিজেপি। দলীয় পঞ্চায়েতে প্রধানের দুর্নীতি প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় স্বভাবকই অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।