স্বৈরতান্ত্রিক পথে বিজেপি, সংসদীয় কমিটি নিয়ে কেন্দ্রের নোংরা রাজনীতি

বিজেপির হাতে সংসদীয় গণতন্ত্রের দফারফা। সংসদীয় গণতন্ত্রের সমস্ত রীতিনীতি শিকেয় তুলে স্বৈরতান্ত্রিক আচরণ শুরু করল বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার।

Must read

নয়াদিল্লি : বিজেপির হাতে সংসদীয় গণতন্ত্রের দফারফা। সংসদীয় গণতন্ত্রের সমস্ত রীতিনীতি শিকেয় তুলে স্বৈরতান্ত্রিক আচরণ শুরু করল বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার সংসদীয় কমিটিতে অদল-বদল ঘটানো হয়েছে। সেখানে সংসদে তৃতীয় বৃহত্তম বিরোধী দল হওয়া সত্ত্বেও একটিও সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যানের পদ দেওয়া হয়নি তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সাংসদকেই।

আরও পড়ুন-স্টল নিয়ে কুৎসার কড়া জবাব তৃণমূলের, মণ্ডপের ভিড়কে কাজে লাগানোর আপ্রাণ চেষ্টা

সরকারের এই অগণতান্ত্রিক আচরণে ক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেস পুজোর পরেই এ নিয়ে আন্দোলনে নামছে। সংসদের অধিবেশন শুরু হলে এবার সে নিয়েও উত্তাল হবে দুই কক্ষ। রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা ট্যুইটে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছেন, এই বঞ্চনা নতুন ভারতের নির্মম বাস্তবতা। কংগ্রেসের বিষয়টি তুলেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, দেশের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের কাছ থেকেও দুটো গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যানের পদ ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন ট্যুইটে তীব্র কটাক্ষ করে বলেছেন, সংসদে তৃতীয় বৃহত্তম দল তৃণমূল কংগ্রেস। দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী দলও বটে। কিন্তু একটি কমিটির চেয়ারম্যান পদও দেওয়া হল না! পাশাপাশি, বৃহত্তম বিরোধী দল দু’টি গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যানের পদ হারিয়েছে। এটাই নতুন ভারতের নির্মম বাস্তবতা।

আরও পড়ুন-উত্তরাখণ্ডে তুষারধসে হত ১০, নিখোঁজ ১১

ঘটনা হল নির্লজ্জভাবে অধিকাংশ সংসদীয় স্থায়ী কমিটির মাথায় বসানো হয়েছে বিজেপি সাংসদদের। সংসদে মোট ২৪টি স্ট্যান্ডিং কমিটি রয়েছে। তার মধ্যে ১৬টির সভাপতি হন লোকসভার সাংসদরা। বাকি ৮টির দায়িত্বে থাকেন রাজ্যসভার সদস্যরা। লোকসভার স্পিকার এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ঠিক করেন, কে কোন কমিটির চেয়ারম্যান হবেন। কিন্তু বিরোধী সাংসদদের চেয়ারম্যান করার প্রথা লঙ্ঘন করার অভিযোগ উঠেছে নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন-বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতে ভিজল বাংলা

এর আগে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানের পদ থেকে শশী থারুরকে অপসারণ করার পর দল-মত নির্বিশেষে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে চিঠি দিয়েছিলেন সাংসদরা। আর এবার কংগ্রেসের পর তৃতীয় বৃহত্তম বিরোধী দল হওয়া সত্বেও তৃণমূলের কোন সাংসদকেই রাখা হলো না কোনও সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যানের পদে। পুজোর পর এ নিয়ে দিল্লির রাজনীতিতে ঝড় ওঠার অপেক্ষা।

Latest article