প্রতিবেদন : দু’মুখো বাম-বিজেপির (BJP) নোংরা রাজনীতির আরও এক কুৎসিত উদাহরণ দেখল রাজ্যবাসী। এরা ক্ষমতা দখলের লোভে যা খুশি তাই করতে পারে। পড়শি রাজ্য ত্রিপুরাতে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিল সিপিএম। তাদের আমলেই ১০৩২৩ জন শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে আদালতের রায়ে। তৎকালীন বিরোধী বিজেপি মওকা বুঝে আসরে নেমে ত্রিপুরাবাসীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তারা ক্ষমতায় এলে চাকরিহারা শিক্ষকদের চাকরি ফিরিয়ে দেবে। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর বিজেপি তাদের চরিত্র বজায় রেখে এই বিষয়টি বেমালুম চেপে যায়। একজন শিক্ষকেরও চাকরিতে ফেরা হয়নি। আর সিপিএম, তারা কী করেছিল? দু’মুখো নীতি বজায় রেখে ১০৩২৩ জন শিক্ষকের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছিল। আবার বাংলার ক্ষেত্রে এই বাম-বিজেপি নিজেদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে কুৎসিত নোংরা রাজনীতিতে নেমেছে।
আরও পড়ুন-যোগ্যদেরও চাকরি গেল কেন সমাধানের সন্ধানে মুখ্যমন্ত্রী
শুক্রবার এ-বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, সিপিএম-বিজেপির এ-বিষয়ে কোনও কিছু বলার অধিকার নেই। কারণ সিপিএমের জমানায় ত্রিপুরাতে ১০,৩২৩ জন শিক্ষকের চাকরি গিয়েছিল আদালতের নির্দেশে। বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ক্ষমতায় এলে তাদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হবে। কিচ্ছু করা হয়নি। বরং সিপিএমের আইনজীবীরা কি আদালতে বলেছিল যে কয়েকজনের ভুলের জন্য বাকিদের চাকরি কেন যাবে? এখন তারা বড় বড় কথা বলছে কোন মুখে? এখন তারা কোন মুখে সাধু সাজছে? এখানে সাধু সেজে বড় বড় কথা বলছে কেন? বিকাশবাবুদের জিজ্ঞেস করুন তাঁদের ভূমিকা কী ছিল সেসময়? সিপিএমের জমানায় তো চিরকুটে চাকরি হত। মধ্যপ্রদেশে ব্যাপম কেলেঙ্কারি ভুলে গেল বিজেপি? কুণালের সংযোজন, একতরফা রায় দিয়ে রাজনৈতিক ইস্যু বানাতে রাম-বাম হাত মিলিয়েছে এখানে। এটা সুস্থ স্বাভাবিক ন্যায়বিচার বলে মনে করছি না আমরা। তৃণমূল কংগ্রেস কখনও কাউকে খারাপ কাজ করলে ডিফেন্ড করেনি। শিক্ষামন্ত্রী হোক কিংবা যে কোনও আধিকারিক হোক না কেন, রাজ্য সরকার কাউকে রেয়াত করেনি । কারও পক্ষে দাঁড়ায়নি।