প্রতিবেদন : ভেস্তে গেল গেরুয়া পরিকল্পনা। ভোটে আরও মোটা অঙ্ক জোগানের পথ বন্ধ হয়ে গেল আচমকাই। ফলে মাথায় হাত বিজেপির। ঠিক কী হয়েছিল ব্যাপারটা? লোকসভা নির্বাচনের মুখে নির্বাচনী বন্ড বাবদ আরও দশ হাজার কোটি টাকা তোলার অনুমতি দিয়েছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট ইলেক্টোরাল বন্ডকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করায় ওই বন্ড আর বাজারে ছাড়েনি স্টেট অফ ইন্ডিয়া। সরকারি সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। আদালত বন্ড নিয়ে হস্তক্ষেপ না করলে ওই দশ হাজার কোটি টাকা এবারের লোকসভা ভোটে ব্যয় করা হত, এতে কোনও সন্দেহ নেই।
আরও পড়ুন-কালবৈশাখীর তাণ্ডব, ভেঙে পড়ল গুয়াহাটি বিমানবন্দরের একাংশ, বন্ধ প্রবেশপথ
এর বেশিরভাগ অংশই নিশ্চিতভাবেই যেত বিজেপির ঘরে। দেশের শীর্ষ আদালত বন্ড মারফত থেকে টাকা তোলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারির আগে পর্যন্ত দেখা গিয়েছে ওই খাতে জমা হওয়া টাকার অর্ধেকের সামান্য কম অর্থ জমা পড়েছে বিজেপির তহবিলে। সরকারি সূত্রের খবর, ২০১৮-তে ইলেক্টোরাল বন্ড চালুর পর থেকে ২০২৪, আদালত নিষেধাজ্ঞা জারির পর থেকে মোট ষোলো হাজার কোটি টাকার বন্ড বিক্রি করেছে এসবিআই। ছয় হাজার কোটির সামান্য কম অর্থ জমা পড়েছে বিজেপির তহবিলে। লোকসভা নির্বাচনে এবার প্রার্থীরা সর্বোচ্চ ৯৫ লাখ টাকা খরচ করতে পারবেন। ৪০ লাখ টাকা খরচ করা যায় বিধানসভা ভোটে।
আরও পড়ুন-লিমকা বুক অফ রেকর্ডসে পদ্মরাজন, নির্বাচনে দাঁড়ানোটাই শখ! ২৩৮ বার হারের বিশ্বরেকর্ড
অবশ্য ছোট ও কেন্দ্র শাসিত রাজ্যে টাকার অঙ্ক কম। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, প্রার্থীদের খরচের উপর ঊর্ধ্বসীমা থাকলেও দলের খরচের উপর কোনও বিধিনিষেধ নেই। রাজনৈতিক দল যত ইচ্ছে খরচ করতে পারে। ফলে, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া আরও দশ হাজার কোটির বন্ড বাজারে ছাড়লে সেই টাকাও আসন্ন ভোটে খরচ হত সন্দেহ নেই। এবং তার ফলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা ছিল নরেন্দ্র মোদির দলেরই। কিন্তু সব পরিকল্পনা ধাক্কা খেল শীর্ষ আদালতের রায়ে।